সাতক্ষীরায় নিখোঁজের ৩৭ দিনেও উদ্ধার হয়নি স্কুল ছাত্রী মন্দিরা

Sadek Ali
সৈয়দ আব্দুস সালাম পান্না, সাতক্ষীরা
প্রকাশিত: ৩:৩২ অপরাহ্ন, ২৬ জুলাই ২০২৫ | আপডেট: ২:১২ অপরাহ্ন, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

সাতক্ষীরায় স্কুল ছাত্রী মন্দিরা দাস (১৬) নিখোঁজের ৩৭ দিন পার হলেও সন্ধান মেলেনি। এ ঘটনায় অপহরণ মামলা করেছে পরিবার।

তবে মেয়ে উদ্ধার না হওয়ায় উদ্বেগ আর হতাশায় দিন পার করছে ভুক্তভোগী পরিবার। তাদের মেয়ে বেঁচে আছে কিনা, মর্মান্তিক কিছু ঘটে গেছে তা নিয়েও রয়েছে অনিশ্চয়তা। পুলিশ বলছে, উদ্ধার তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।

আরও পড়ুন: অমানবিক পুশইনের শিকার অন্তঃসত্ত্বা ভারতীয় নারী সোনালী খাতুনকে বিএসএফের কাছে হস্তান্তর করলো বিজিবি

সাতক্ষীরা সদরের মাগুরা বীনেরপোতা এলাকার বাসুদেব দাসের মেয়ে স্কুল ছাত্রী মন্দিরা দাস (১৬)। স্থানীয় একটি স্কুল থেকে এ বছর এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছে।

মন্দিরা দাসের বাবা বাসুদেব দাস বলেন, আমার মেয়ে স্কুলে আসা যাওয়ার পথে স্থানীয় একই এলাকার রতন বসুর ছেলে দীপ্ত অপু আমার মেয়েকে উত্ত্যক্ত করতো। এ বিষয়ে আমরা স্থানীয়ভাবে গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সাথে বহুবার কথা বলেছি। পরে কিছুদিন উত্যক্ত না করলেও গত ১৮ জুন সন্ধ্যায় আমার মেয়ে বাড়ির সামনে রাস্তায় গেলে তাকে অপহরণ করে নিয়ে যায়।

আরও পড়ুন: জামালপুরের আলোচিত মনিরুল হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে গ্রেফতার

তিনি বলেন, পরবর্তীতে ২০ জুন সাতক্ষীরা সদর থানায় অভিযোগ দায়ের করি। থানা কর্তৃপক্ষ মামলা না নিয়ে এক পর্যায়ে ট্রাইবুনালে মামলা করার পরামর্শ দেন। আদালতের নির্দেশে ৪ ‍জুলাই সদর থানা মামলা নেয়। তবে এখনো পর্যন্ত আমার মেয়েকে উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ।

মন্দিরার মা বিশাখা রানী দাশ অভিযোগ করেন, আমরা প্রশাসনের অনেক জায়গায় ঘুরেছি, কিন্তু এখনো আমার মেয়েকে উদ্ধার করা যায়নি। আমরা জানি না, সে আদৌ জীবিত আছে কি না।

তিনি আরও বলেন, মামলার একজন আসামি গ্রেপ্তার হলেও বাকিরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। পুলিশের নির্লিপ্ততায় তিনি ক্ষুব্ধ ও হতাশ। মন্দিরার পরিবার এখন সরকারের উচ্চপর্যায়ের হস্তক্ষেপ কামনা করছে।

সাতক্ষীরা সদর থানার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা (এসআই) আব্দুল্লাহিল আরিফ নিশাত বলেন,  মন্দিরা দাশের উদ্ধারের চেষ্টা করে যাচ্ছি। আমরা আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি। তবে এখনো তেমন কোনো অগ্রগতি হয়নি। তিনি আরও বলেন,আশা করছি দ্রুত সময়ের মধ্যে উদ্ধার করতে সক্ষম হবো।