পুলিশ ও শ্রমিকদের উত্তেজনায় আটক চার শ্রমিক

মানিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড এলাকায় মহাসড়ক দখল করে গড়ে ওঠা অবৈধ সিএনজি চালিত অটোরিক্সার স্ট্যান্ডে সরানোকে কেন্দ্র করে ট্রাফিক পুলিশের সাথে পরিবহণ শ্রমিকদের মধ্যে উত্তেজনার সৃস্টি হয়।
বুধবার (৩০ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জেলা ট্রাফিক পুলিশ ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের মানিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ডের উত্তর পাশে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা অটোরিক্সার স্ট্যান্ড বন্ধ করতে গেলে পরিবহণ শ্রমিকরা বাঁধা দেয়। পরে উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করে এবং এক পর্যায়ে ট্রাফিক পুলিকে দায়িত্ব পালনে বাঁধা দেওয়ায় পরিবহণ চার শ্রমিককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে আসা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সাদা পাথর রক্ষায় প্রশাসনের ৫ দফা সিদ্ধান্ত
জেলা ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক (প্রশাসন) আব্দুল হামিদ খান জানান, মহাসড়কের নিরাপত্তা ও যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে এ অভিযান চালানো হয়েছে। কেউ রাস্তায় অবৈধভাবে যানবাহন দাঁড় করাতে পারবে না। এছাড়া এখানে যে সকল সিএনজি চালিত অটোরিক্সা, ব্যাটারি চালিত হ্যালোবাইক রয়েছে তার বেশির ভাগেরই সঠিক কাগজপত্র নেই। এসব যানবাহন সড়ককে যানজটের সৃস্টি করে। ঢাকা আরিচা মহাসড়কে এসব অবৈধ যানবাহন ও তাদের স্ট্যান্ড সরানো জন্য ট্রাফিক পুলিশ অভিযান পরিচালনা করেন। এসময় কিছু পরিবহণ শ্রমিক সরকারি কাজে বাঁধা ও মহাসড়কে জটনার সৃস্টি করে। পরিস্থিতি নিযন্ত্রন আনতে চারজন শ্রমিককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সদর থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়েছে। এছাড়া এরপর মহাসড়কে এসব যানবাহন জটলাসৃস্টি করলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন পরিবহণ শ্রমিক জানান, প্রতিদিন থানা পুলিশকে রাতে ডিউিটি করার জন্য বিনাভাড়ায় যানবাহন দেওয়া হয়। শ্রমিক নেতাদের ও ট্রাফিক পুলিশকে মাসোহারা দিতে হয়। এতে কিছুর পরও যদি আমাদের সাথে ঝামেলা করে তাহলে ক্ষোভ থাকায় স্বাভাবিক। এই কারণে শ্রমিকরা পুলিশের বিরুদ্ধে নানান স্লোগান দিয়েছে। বিনা কারণে আমাদের চারজন শ্রমিককে ধরে নিয়ে গেছে।
আরও পড়ুন: পাবনায় অনির্দিষ্টকালের জন্য ডাকা পরিবহণ ধর্মঘট প্রত্যাহার
মানিকগঞ্জ সদর থানার ওসি এস.এম আমান উল্লাহ জানান, সড়কে যানবাহন রেখে বিশৃঙ্খলা ও পরিবহণ খাতে চাঁদাবাজির বিষয়টি জানান পর চারজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানা নিয়ে আসা হয়েছে। আজ রাতে জিজ্ঞাসাবাদের পর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।