সাতক্ষীরা আশাশুনি উপজেলায় ৯ হাজার ৬৯০ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা

Sanchoy Biswas
সৈয়দ আব্দুস সালাম পান্না, সাতক্ষীরা
প্রকাশিত: ৭:৫৪ অপরাহ্ন, ২২ ডিসেম্বর ২০২৫ | আপডেট: ৯:৪০ অপরাহ্ন, ২২ ডিসেম্বর ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

সাতক্ষীরা আশাশুনি উপজেলায় চলতি রবি (বোরো) মৌসুমে ৯ হাজার ৬৯০ হেক্টর জমিতে বোরো ধান আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। লক্ষ্য অর্জনে চাষীরা ইতিমধ্যে মাঠে নেমে গেছে।

প্রতি বছর অক্টোবর মাস থেকে রবি মৌসুম শুরু হয়। এবছরও যথা নিয়মে নির্দিষ্ট সময়ে রবি মৌসুম শুরুর সাথে সাথে কৃষকরা চাষাবাদের কাজ শুরু করেছে। এখন ডিসেম্বর মাস শেষ হতে চলেছে। চাষীরা তাদের জমি আবাদে প্রয়োজনীয় বীজতলা তৈরি করে ধান ফেলানোর কাজ এগিয়ে নিয়েছে। কিছু কৃষক পাতা সেরে রোপণের কাজেও হাত দিয়েছেন। কৃষকরা ব্যক্তি উদ্যোগে চাষাবাদে মনোনিবেশ করেছেন। পাশাপাশি সরকারি ভাবে প্রদর্শনী ও প্রণোদনার আওতায় কৃষকদের সহযোগিতা ও পরামর্শ প্রদান করা হয়েছে।

আরও পড়ুন: শরীয়তপুরে এনসিপি ও ছাত্রদলের সংঘর্ষ, ককটেল বিস্ফোরণে আহত ৮

আশাশুনি উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ শুভ্রাংশু শেখর দাশ জানান, রবি মৌসুমে রাজস্ব (বোরো) খাতের আওতায় ৩০টি প্রদর্শনীর জন্য বিনামূল্যে সার ও বীজ বিতরণ করা হয়েছে। পারিবারিক পুষ্টি বাগানের আওতায় ৩০ কৃষককে সার, বীজ, চারা, নেট, ঝাঁঝরী প্রদান করা হয়েছে। পার্টনার প্রকল্পের আওতায় ৩৫ কৃষককে (৭টি প্রদর্শনী) সার, বীজ ও ড্রাম দেওয়া হয়েছে।

প্রণোদনার আওতায় হাইব্রিড (বোরো) ৭০০ কৃষককে এবং উপসি (বোরো) ৪৫০ কৃষককে সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। এছাড়া বীজ বিতরণ করা হয়েছে ৬২০ কৃষককে, যার মধ্যে মুগ ৩০ জন, পেয়াজ ২০ জন, সূর্যমুখী ১০০ জন, সরিষা ১৫০ জন, গম ৩০ জন, সবজি: শষা ১২০ জন, বেগুন ১২০ জন, লাউ ৮০ জন। বসত বাড়ির আঙিনায় সবজি চাষ প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে ২৫০ কৃষক/পরিবারকে।

আরও পড়ুন: পটুয়াখালীতে বিএনপি ও ইসলামী আন্দোলন প্রার্থীর পক্ষে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ

এসব সহায়তা পেয়ে কৃষকরা পুরোদমে চাষাবাদে কাজ করছে। সহায়তা পাওয়া কৃষক ও পরিবার চাষাবাদে যথাযথভাবে কাজ করতে পারে সেজন্য কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে নিয়মিত খবর নেওয়া, পরামর্শ প্রদানসহ সার্বিক সহযোগিতা দেওয়া হচ্ছে। উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তাবৃন্দ স্ব স্ব এরিয়ায় নিয়মিত গমন করে সফলতা আনাতে কাজ করে আসছেন।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আরও জানান, রবি মৌসুমে লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য নিয়মিত কাজের পাশাপাশি বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। সার ও কীটনাশকের সংকট সৃষ্টি না হয় সেজন্য মনিটরিং-এর কাজ বৃদ্ধি করা হয়েছে। ইতিমধ্যে মোবাইল কোর্ট পরিচালনার মাধ্যমে অনিয়ম দূর করার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। প্রয়োজনে কার্যক্রম অব্যাহত রাখা হবে বলে তিনি জানান।

তিনি বলেন, “এভাবে কাজ এগিয়ে নিতে পারলে এবং আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের সাথে সাথে চাষীরা লাভজনক ফসল উৎপাদন করতে সক্ষম হবেন।”