মালামাল দেখে নিলাম কমিটি হতবাক

সাবেক আই জি পি বেনজিরের ব্যবহৃত ২৪৬ আইটেমের মালামাল নিলামে বিক্রি হচ্ছে

Any Akter
বাংলাবাজার ডেস্ক
প্রকাশিত: ১২:৪৭ পূর্বাহ্ন, ২৪ জুলাই ২০২৫ | আপডেট: ৬:৫২ অপরাহ্ন, ২৩ জুলাই ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ ও তার পরিবারের ব্যবহৃত বিলাসবহুল সামগ্রী নিলামে তোলার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। গুলশানের র‍্যানকন টাওয়ারের চারটি ফ্ল্যাট একত্র করে তৈরি করা হয়েছে এই ডুপ্লেক্স ইউনিটটি। ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতের নির্দেশে ইতোমধ্যেই নিলাম কমিটি গঠন করা হয়েছে।

কমিটির প্রথম বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, সংবাদপত্রে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে কয়েকদিনের মধ্যেই নিলাম প্রক্রিয়া শুরু হবে। এরইমধ্যে বিশদ জিনিসপত্রের তালিকা তৈরি করা হয়েছে, যা দেখে কমিটির সদস্যরা বিস্ময়ে হতবাক।

আরও পড়ুন: ডিএমপির সকল থানায় এখন থেকে অনলাইনে জিডি

নিলাম কমিটির এক সদস্য বলেন, “তালিকাটি দেখে ফিলিপাইনের সাবেক প্রেসিডেন্ট মার্কোস ও ইমেলদা মার্কোসের বিলাসী সম্পদের কথা মনে পড়ে যায়।”

জব্দকৃত সামগ্রীর বিশাল তালিকা

আরও পড়ুন: ঢাকা মহানগর এলাকায় ফানুস উড়ানো নিষিদ্ধ করেছে ডিএমপি

ডুপ্লেক্স ফ্ল্যাটে জব্দ করা হয়েছে ২৪৬টি আইটেম, এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কিছু:

* টি-শার্ট: ৭২২টি

* পাঞ্জাবি: ২২৪টি

* শাড়ি: ৪৯৪টি

* থ্রি-পিস: ২৫০ সেট

* লেডিস টপস: ৬২২টি

* লেডিস প্যান্ট: ৩৫৫টি

* নাইট ড্রেস: ৫৮টি

* সানগ্লাস: ৩৪টি

* জুতা/স্যান্ডেল/কেডস: ১৬১ জোড়া

* বেডশিট: ১০৯টি

* লেহেঙ্গা: ১৬টি

এছাড়া, ড্রয়িংরুম, থিয়েটার রুম, সুইমিং পুলের আনুষঙ্গিক সামগ্রী, ১৯টি ফ্রিজ, ১০০ টনের এয়ারকন্ডিশনিং, ভ্যানিটি ব্যাগ, জ্যাকেট, বডি স্প্রে, পারফিউমসহ বহুমূল্য জিনিসপত্র রয়েছে। তবে, খাট, ডাইনিং টেবিল, ড্রেসিং টেবিল, সোফাসেটসহ মূল্যবান আসবাব এই প্রাথমিক নিলামের বাইরে রাখা হয়েছে।

নিলাম কমিটি

নিলাম তদারকির জন্য গঠিত কমিটির সভাপতি হচ্ছেন দুদকের সম্পদ ব্যবস্থাপনা ইউনিটের পরিচালক। কমিটিতে আরও রয়েছেন:

একজন মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট

বস্ত্র অধিদপ্তর ও ইস্পাত প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রতিনিধি

সদস্যসচিব: দুদকের উপপরিচালক (সম্পদ ব্যবস্থাপনা)

অর্থপাচার ও দেশত্যাগ

আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের আগেই ২০২৪ সালের ৪ মে মিথ্যা তথ্যে নতুন পাসপোর্ট নিয়ে বেনজীর পরিবারসহ দেশ ত্যাগ করেন। অভিযোগ রয়েছে, তিনি ব্যাগভর্তি স্বর্ণালংকার, বৈদেশিক মুদ্রা ও নগদ অর্থ নিয়ে গেছেন। এরইমধ্যে দুদক তার বিরুদ্ধে ১১ কোটি ৩৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা পাচারের মামলা দায়ের করেছে।

দুদক বলছে, বেনজীর তার সরকারি ক্ষমতার অপব্যবহার করে অবৈধভাবে শত শত কোটি টাকার সম্পদ গড়ে তোলেন, যা প্রজাতন্ত্রের একজন কর্মকর্তার জন্য কল্পনাতীত।