মাইলস্টোন স্কুল ট্রাজেডি

দগ্ধ ১১ দেহের ডিএনএ নমুনায় ৫ নারীর পরিচয় সনাক্ত সিআইডির

Any Akter
বাংলাবাজার ডেস্ক
প্রকাশিত: ৫:৩৮ অপরাহ্ন, ২৪ জুলাই ২০২৫ | আপডেট: ৭:০১ পূর্বাহ্ন, ২৫ জুলাই ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান বিধ্বস্তজনিত অগ্নিকাণ্ডে দগ্ধ হয়ে বিকৃত হওয়া মরদেহগুলোর মধ্যে ১১টি মরদেহের ডিএনএ বিশ্লেষণ করে ৫ জন নারীর পরিচয় শনাক্ত করেছে সিআইডি। সিআইডির ডিএনএ ল্যাব জানায়, গত ২১ জুলাই উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল এন্ড কলেজের বিমান বিধ্বস্তের কারণে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের ঘটনায় পরদিন ২২ জুলাই তারা ঢাকা সিএমএইচে রক্ষিত মরদেহ ও দেহাংশ থেকে মোট ১১টি ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করেন। এই নমুনা সমূহ বিশ্লেষণ করে মোট ৫ জন নারীর ডিএনএ প্রোফাইল পাওয়া যায়। সংগৃহীত নমুনা হতে প্রস্তুতকৃত প্রোফাইল ও ঘটনার পর হতে ২৩ জুলাই পর্যন্ত ৫টি পরিবারের মোট ১১ জন সদস্যের প্রোফাইল বিশ্লেষণ করে ৫টি মৃতদেহের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে।

পরিচয় শনাক্ত হওয়া মরদেহগুলো:

আরও পড়ুন: ডিএমপির সকল থানায় এখন থেকে অনলাইনে জিডি

১. গৃহীত ১টি নমুনা হতে একজন নারীর ডিএনএ প্রোফাইল পাওয়া যায় যা দাবীদার মো: ফারুক হোসেন ও সালমা আক্তার দম্পতির কন্যাসন্তান (ওকিয়া ফেরদৌস নিধি) প্রমাণিত হয়। (পিএম নাম্বার-৬২৫)

২. গৃহীত ৬টি নমুনা হতে একজন নারীর ডিএনএ প্রোফাইল পাওয়া যায় যা দাবীদার মো: বাবুল ও মাজেদা দম্পতির কন্যাসন্তান (লামিয়া আক্তার সোনিয়া) প্রমাণিত হয়। (পিএম নাম্বার-৬২৬,৬৩১,৬৩২,৬৩৩ (৬৩৩-M৯, ৬৩৩- M১০, ৬৩৩-M১১)

আরও পড়ুন: ঢাকা মহানগর এলাকায় ফানুস উড়ানো নিষিদ্ধ করেছে ডিএমপি

৩. গৃহীত ০২ (দুই) টি নমুনা হতে একজন নারীর ডিএনএ প্রোফাইল পাওয়া যায় যা দাবীদার মো: আব্বাস উদ্দিন ও মোসা: মিনু আক্তার দম্পতির কন্যাসন্তান (আফসানা আক্তার প্রিয়া) প্রমাণিত হয়। (পিএম নাম্বার-৬২৭,৬২৮) 

৪. গৃহীত ০১ (এক) টি নমুনা হতে একজন নারীর ডিএনএ প্রোফাইল পাওয়া যায় যা দাবীদার মো: শাহাবুল শেখ ও মিসেস মিম দম্পতির কন্যাসন্তান (রাইসা মনি) প্রমাণিত হয়। (পিএম নাম্বার-৬২৯)

৫. গৃহীত ০১ (এক) টি নমুনা হতে একজন নারীর ডিএনএ প্রোফাইল পাওয়া যায় যা দাবীদার আব্দুল কাদির ও উম্মে তামিমা আক্তার দম্পতির কন্যাসন্তান (মারিয়াম উম্মে আফিয়া) প্রমাণিত হয়। (পিএম নাম্বার-৬৩০)

সিআইডির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, নিহতদের মরদেহের বিকৃতি এতটাই ভয়াবহ ছিল যে পরিচয় শনাক্তে শুধুমাত্র ডিএনএ পরীক্ষাই ছিল একমাত্র নির্ভরযোগ্য পদ্ধতি। পরিবারের সদস্যদের দেওয়া নমুনার সঙ্গে মিলিয়ে এই শনাক্তকরণ নিশ্চিত করা হয়।