বাংলাদেশের সাথে রাষ্ট্রীয় বিনিয়োগে আগ্রহী অনেক দেশ

Shakil
বাংলাবাজার রিপোর্ট
প্রকাশিত: ৮:৫০ অপরাহ্ন, ১৬ মার্চ ২০২৩ | আপডেট: ২:৩৭ পূর্বাহ্ন, ১৭ মার্চ ২০২৩
(no caption)
(no caption)

সৌদি আরব প্রতি বছর ৩৫ বিলিয়ন ডলার খরচ করে কৃষিপণ্য, বেভারেজ, পোশাক, চামড়াজাত পণ্য, সিরামিক, ফার্মাসিউটিক্যালস , প্লাস্টিক পণ্য কিনতে।

ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড সেন্টারের তথ্য অনুযায়ী, ২০২১ সালে সৌদি আমদানি ছিল ১৫২.৩৪ বিলিয়ন ডলার। দেশটিতে চীনের রপ্তানি ৩১.০৭ বিলিয়ন ডলার। যা ইউএসএ, ইউএই, ভারত ও জার্মানির চেয়েও বেশি। আর বাংলাদেশের শেয়ার ২৯ কোটি ডলার।

আরও পড়ুন: প্রথম ১০ দিনে অনলাইনে ই-রিটার্ন দাখিল করলেন ৯৬ হাজারের বেশি করদাতা

এবার পোশাক রপ্তানিতে দেশের বাজার ধরতে চায় বাংলাদেশ। অন্যদিকে জ্বালানির নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ দেশে শিল্প সম্প্রসারণের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কারণ হবে। তাই কৃষি ছাড়াও সৌদির আগ্রহ এখন বাংলাদেশের জ্বালানি খাত।

দীপন গ্রুপের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রাশেদ মাহমুদ বলেন, আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো সবসময় ভারসম্যপূর্ণ গ্যাস চায়। সে ক্ষেত্রে বাংলাদেশের মহেশখালী ও সিলেট রয়েছে। তাই ক্রসবর্ডার গ্যাস পাইপলাইন চুক্তি। যা একটি মাইলফলক প্রকল্প হতে যাচ্ছে।

আরও পড়ুন: পাম অয়েলের দাম লিটারে কমলো ১৯ টাকা

বাংলাদেশের পোশাকখাতকে নতুন করে দেখেছে বিদেশ থেকে আসা বিভিন্ন কোম্পানি। এছাড়া সম্প্রতি দেশের বাজার পর্যালোচনা করছে ইউরোপ ও ল্যাটিন আমেরিকার অনেক দেশ।

বাংলাদেশ বিজনেস সামিটে অংশ নেয়া বিভিন্ন দেশের অ্যাসোসিয়েশন মনে করে। আর প্রবাসী ব্যবসায়ীদের মাধ্যমে প্রসার ঘটানো সম্ভব নতুন পণ্যের।

বাংলাদেশ ফ্রান্স ইকোনমিক চেম্বারের সভাপতি কাজী এনায়েত উল্লাহ বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন যেমন আমাদের পণ্যের ওপর শর্ত আরোপ করেছে বাংলাদেশেরও কিছু শর্ত আরোপ করা উচিত। তাহলে বাংলাদেশের মজুরি কিছুটা বেশি হবে।

এফবিসিসিআই মনে করে, দেশে ব্যবসা-বানিজ্য অনেকটা অগোছানো ছিলো, সামিটে সম্মেলনের মাধ্যমে এখন একটি বিনিয়োগ উপযোগী পরিবেশ তৈরি হবে।

এফবিসিসিআই সহ-সভাপতি মো. আমিন হেলালী বলেন, যেহেতু আমরা এখন স্বল্প আয় থেকে উত্তরণ করেছি। তাই আমাদের নিয়মকানুনের উপর আরো জোর দিতে হবে। এবং সরকারের লক্ষ্য অনুযায়ী কাজ করতে হবে।

বাংলাদেশের মেগা প্রকল্পতে বিদেশি বিনিয়োগে চীনের অংশ সিংহভাগ। দেশটি এবার প্রযুক্তি ও সমুদ্র বন্দরে অবকাঠামো ছাড়াও নিজেদের প্রসার ঘটাতে চায়।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেন  জানান, রপ্তানি বাজার বাড়াতে ইউরোপ-আমেরিকার পাশাপাশি নতুন বাস্কেট তৈরি করতে চায় সরকার।

এছাড়া, বাজারের চাহিদা অনুযায়ী বাংলাদেশ সরকার দক্ষ মানব শক্তি তৈরিতে অন্যান্য দেশের সাথে এখন থেকেই যৌথভাবে কাজ করবে।