ইসরায়েলের যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন: জার্মানি ও ফ্রান্সের কড়া সতর্কবার্তা

Sadek Ali
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ৯:৫৬ পূর্বাহ্ন, ২৫ নভেম্বর ২০২৫ | আপডেট: ৯:৫৬ পূর্বাহ্ন, ২৫ নভেম্বর ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

ইসরায়েলের লাগাতার যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের কারণে লেবানন–ইসরায়েল সীমান্ত পরিস্থিতি দ্রুত উত্তপ্ত হয়ে উঠছে, এমন প্রেক্ষাপটে ইউরোপের দুটি প্রধান দেশ—জার্মানি ও ফ্রান্স একযোগে সোমবার (২৪ নভেম্বর) গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে সতর্কবার্তা দিয়েছে।

জার্মানির সতর্কতা: ‘আরও ভয়াবহ উত্তেজনা তৈরি হতে পারে’

আরও পড়ুন: 'ফিফা শান্তি পুরস্কার’ পেলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প

গত সোমবার জার্মানির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মার্টিন গিসে বলেন, বৈরুতের ওপর সাম্প্রতিক ইসরায়েলি হামলার খবর তারা উদ্বেগের সঙ্গে পর্যবেক্ষণ করছে। তিনি জানান, আমরা বহুবার বলেছি এবং আবারও জোর দিয়ে বলছি, স্থায়ী শান্তির জন্য রাজনৈতিক সমাধানই একমাত্র পথ। এজন্য হিজবুল্লাহর নিরস্ত্রীকরণ জরুরি।

তিনি আরও বলেন, সব পক্ষকে যুদ্ধবিরতি মেনে চলতে হবে। সংযম অত্যন্ত জরুরি। আরও উত্তেজনা যাতে না বাড়ে, সেটিই এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।

আরও পড়ুন: ডনবাস ইস্যুতে কোনো ছাড় নয়, কঠোর অবস্থানে পুতিন

জার্মানির এই মন্তব্য আসে ইসরায়েলের এক হামলায় বৈরুতের দক্ষিণাঞ্চলে পাঁচজন নিহত এবং অন্তত ২৮ জন আহত হওয়ার পর। ইসরায়েল দাবি করেছে, হামলার লক্ষ্য ছিল হিজবুল্লাহর চিফ অব স্টাফ আলি তাবাতাবাই।

লেবাননের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ২৭ নভেম্বর ২০২৪-এর যুদ্ধবিরতির পর থেকে এখন পর্যন্ত ইসরায়েলি আগ্রাসনে অন্তত ৩৩১ জন নিহত ও ৯৪৫ জন আহত হয়েছে।

এদিকে ইউনিফিল জানিয়েছে, এই সময়ের মধ্যে ইসরায়েল ১০,০০০-এর বেশি স্থল ও আকাশ লঙ্ঘন করেছে যুদ্ধবিরতির শর্ত ভেঙে।

ফ্রান্সের উদ্বেগ: ‘বৈরুত হামলা পরিস্থিতিকে আরও বিপজ্জনক করবে’

অন্যদিকে ফ্রান্সও সোমবার এক বিবৃতিতে ইসরায়েলি হামলায় গভীর উদ্বেগ জানিয়ে বলে, এটি সীমান্ত পরিস্থিতিকে আরও অস্থিতিশীল করে তুলবে। বৈরুতের দক্ষিণ উপকূলে রবিবারের ওই হামলায় পাঁচজন নিহত ও ২৫ জন আহত হয়।

ফরাসি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, যেকোনো পদক্ষেপ এড়িয়ে চলতে হবে। যেকোনো নতুন উত্তেজনা সীমান্তের দুই পাশের সাধারণ মানুষের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি তৈরি করবে।

প্যারিস আরও জানায়, নভেম্বর ২৭, ২০২৪–এর যুদ্ধবিরতি চুক্তির অধীনে প্রতিষ্ঠিত যুদ্ধবিরতি পর্যবেক্ষণ ব্যবস্থা সক্রিয়ভাবে ব্যবহার করতে হবে যাতে উত্তেজনা কমানো যায় ও অভিযোগসমূহ যথাযথভাবে নথিভুক্ত হয়।

ফ্রান্স আবারও লেবাননের সার্বভৌমত্ব ও ভৌগোলিক অখণ্ডতার প্রতি তাদের কঠোর অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করে।

সূত্র: আনাদোলু