জাহাঙ্গীর আলমের মনোয়নপত্র বৈধ বলার সুযোগ নেই: হাইকোর্ট

Shakil
বাংলাবাজার রিপোর্ট
প্রকাশিত: ১:৫৩ অপরাহ্ন, ১১ মে ২০২৩ | আপডেট: ১২:০৭ অপরাহ্ন, ১১ মে ২০২৩
ফাইল ফটো
ফাইল ফটো

স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) আইন ২০০৯ অনুযায়ী গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার দিন ঋণখেলাপি ছিলেন বলে মন্তব্য করেছেন হাইকোর্ট। তাই তার মনোয়নপত্র আইন অনুযায়ী বৈধ বলার সুযোগ নেই বলেও আদালত মন্তব্য করেছেন। 

বৃহস্পতিবার (১১ মে) বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি মুহাম্মদ মাহবুবুল ইসলামের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চের স্বাক্ষরের পর প্রকাশিত পাঁচ পৃষ্ঠার রায়ে এমন পর্যবেক্ষণ উঠে এসেছে। 

আরও পড়ুন: আশিয়ান সিটির প্লট বিক্রি ও বিজ্ঞাপন বন্ধের নির্দেশ

রায়ে বলা হয়েছে, গত ২৭ এপ্রিল মনোয়নপত্র জমা দেওয়ার দিন সিআইবি রিপোর্টে জাহাঙ্গীর আলমের নাম ছিল। গত ২ মে তিনি সিআইবি রিপোর্টের ওপর স্থগিতাদেশ নিয়েছেন। তবে স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) আইন ২০০৯-এর ৯ (২) ধারায় বলা হয়েছে, মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার দিন কোনও ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে গৃহীত কোনও ঋণ বা কিস্তি পরিশোধে ব্যর্থ হন, তাহলে ঋণগ্রহীতা ছাড়াও বন্ধকদাতা বা জামিনদার ঋণখেলাপি বলে গণ্য হবেন।

এর আগে গত ৩০ এপ্রিল যাচাই-বাছাই শেষে ঋণখেলাপির অভিযোগে জাহাঙ্গীরের মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করেন গাজীপুরের রিটার্নিং কর্মকর্তা। পরে ওই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীরের করা আপিল নামঞ্জুর করেন ঢাকা বিভাগীয় নির্বাচন কমিশনার মো. সাবিরুল ইসলাম। ফলে মেয়র পদে জাহাঙ্গীরের মনোনয়নপত্র বাতিলে রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্ত বহাল থাকলো।

আরও পড়ুন: ভোলাগঞ্জে লুট হওয়া সাদা পাথর ফেরত ও লুটকারীদের তালিকা দাখিলের নির্দেশ হাইকোর্টের

তবে আলোচিত এই নির্বাচনে মেয়র পদে জাহাঙ্গীর মা জায়েদা খাতুনের মনোনয়নপত্র বৈধ হওয়ায় ভোটের মাঠে এখনও রয়েছেন তিনি।

এদিকে গত ৭ মে মনোনয়নপত্র বাতিলের সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন স্বতন্ত্র প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম। ৮ মে আসন্ন গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে মনোনয়নপত্র বাতিলের সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে স্বতন্ত্র প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলমের করা রিট খারিজ করে দেন হাইকোর্ট। বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি মুহাম্মদ মাহবুব উল ইসলামের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র অ্যাডভোকেট ফিদা এম কামাল ও এম কে রহমান। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন।