লিচু খাওয়ার উপকারিতা ও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া

রসালো ফল লিচু
আম, জাম ও কাঁঠালের সঙ্গে গরমের ফলের মধ্যে অন্যতম লিচুও বাজারে পাওয়া যাচ্ছে। গ্রীষ্মকালীন পরিচিত ফল লিচু খুব কম সময়ের জন্য দেখা গেলেও স্বাদ ও গন্ধের জন্য অনেকের কাছেই প্রিয়। ফলটি স্বাদে মিষ্টি।
আরও পড়ুন: রঙ ফর্সাকারী ক্রিমে যে ভয়ংকর ক্ষতি হচ্ছে আপনার
লিচু রসে ও পুষ্টিগুণে ভরপুর। লিচুতে আছে প্রচুর ভিটামিন বি, ভিটামিন সি। আরো আছে ফ্ল্যাভনয়েড, ফাইবার এবং প্রোটিন, ক্যালরি, কার্বোহাইড্রেড, ফ্যাট এবং মিনারেল। আরও আছে ফলিক অ্যাসিড, ম্যাগনেসিয়াম এবং আয়রন।
লিচুর আদিনিবাস চীন, মালয়েশিয়া ও ভিয়েতনাম। চীনে ১১শ শতক থেকে লিচুর চাষাবাদের কথা লিখিত পাওয়া যায়।
আরও পড়ুন: সপ্তাহে কতবার ফ্রিজ বন্ধ করা উচিত, জানেন কী?
লিচু খাওয়ার উপকারিতা:
* লিচু খেলে শরীরের বিভিন্ন ধরনের ব্যথা দূর হয়। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
* উচ্চরক্তচাপ এবং ব্রণের সমস্যা দূর করতে লিচু উপকারী।
* ত্বক উজ্জ্বল করার পাশাপাশি বলিরেখা দূর করে। চেহারায় বয়সের ছাপ পড়তে দেয় না।
* লিচুতে ভিটামিন ও নানা খনিজ উপাদান আছে। এ ফল রক্তের উপাদান তৈরিতে সাহায্য করে।
* ক্যানসার বা ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমাতে লিচু খুবই উপকারী।
* লিচুর আঁশ হজম ক্রিয়া সচল রাখতে সাহায্য করে। ফলটি গ্যাস্ট্রিক এবং পরিপাকতন্ত্রের জন্যও কার্যকর।
লিচু খাওয়ার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া:
* লিচু অতিরিক্ত খেলে রক্তচাপ অস্বাভাবিকভাবে কমে যাওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিতে পারে।
* লিচু আপনার ওজন বৃদ্ধি করতে সহায়ক।
* লিচুতে ক্যালসিয়াম, প্রোটিন, জরুরি ফ্যাটি এসিড না থাকার কারণে বেশি পরিমাণে লিচু খেলে তা দেহের স্বাভাবিক ভারসাম্য নষ্ট করে।
* সকালে বা অন্য সময়ে খালি পেটে লিচু খাওয়া ঠিক নয়। খেলে শরীরে বিষক্রিয়া হতে পারে।
* লিচু বেশি খেলে রক্তের গ্লুকোজ কমে যায়।
সুস্বাদু হলেও বয়স, শরীর, অসুস্থতা ইত্যাদি বিষয় বিবেচনায় নিয়ে দিনে ১০-১২ টির বেশি লিচু খাওয়া ঠিক নয়।