ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে ৫ জেলায় ভূমিধস হতে পারে

Shakil
বাংলাবাজার পত্রিকা রিপোর্ট
প্রকাশিত: ১:১৬ অপরাহ্ন, ১৩ মে ২০২৩ | আপডেট: ৯:১১ পূর্বাহ্ন, ১৩ মে ২০২৩
ছবি : সংগৃহীত
ছবি : সংগৃহীত

প্রচণ্ড শক্তি নিয়ে এগিয়ে আসতে থাকা ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে বৃষ্টিপাত ৮৯ মিলিমিটারে উঠলে তিন বিভাগে অতি ভারি বর্ষণ হওয়ার সম্ভাবনা। আর এর ফলে হতে পারে পাঁচ জেলায়  ভূমিধস।

কক্সবাজার, বান্দরবান, রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও চট্টগ্রামের পাহাড়ি অঞ্চলের কোথাও কোথাও ভূমিধস হতে পারে যদি মোখার প্রভাবে বৃষ্টিপাত ৮৯ মিলিমিটারে উঠে।

আরও পড়ুন: ১৫ আগস্ট ঘিরে আ. লীগ-ছাত্রলীগকে সড়কে নামতে দেওয়া হবে না: ডিএমপি কমিশনার

এই আশঙ্কা প্রকাশ করেছে আবহাওয়া অধিদপ্ত শনিবার সকাল ১০টার বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে। এতে বলা হয়েছে, অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে চট্টগ্রাম, বরিশাল ও সিলেট এই তিন বিভাগে ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে। সাধারণত, ৪৪ থেকে ৮৮ মিলিমিটার বৃষ্টিকে ভারি এবং ৮৯ মিলিমিটার বা তার চেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত রেকর্ড হলে তাকে অতি ভারি বর্ষণ বলে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বৃষ্টিপাত ৮৯ মিলিমিটারে উঠলে তার প্রভাবে কক্সবাজার, বান্দরবান, রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও চট্টগ্রামের পাহাড়ি অঞ্চলের কোথাও কোথাও ভূমিধস হতে পারে বলে।

আরও পড়ুন: সরকারি প্রশিক্ষণে বাড়লো ভাতা ও সম্মানী

ভারতের আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, ঘূর্ণিঝড়টি কেন্দ্রে বাতাসের একটানা গতিবেগ বর্তমানে ঘণ্টায় ১৮০ থেকে ১৯০ কিলোমিটার। আর দমকা হাওয়ার আকারে ২১০ কিলোমিটারে উঠছে।

ঘূর্ণিঝড়টির সবচেয়ে বেশি প্রভাব কক্সবাজারের টেকনাফ ও সেন্ট মার্টিন দ্বীপে পড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। সেজন্য সেখানকার মানুষদেরকে নিরাপদ স্থানে সরানোর কাজ চলমান।কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে ভূমিধসে ক্ষয়ক্ষতি আশঙ্কা রয়েছে।

মোখার প্রভাবে কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরকে ৮ নম্বর মহাবিপদ সংকেত আর মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অফিস।

উপকূলীয় জেলা কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, চাঁদপুর ও ভোলা, ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর এবং অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ ৮ নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।

শনিবার সন্ধ্যা থেকেই কক্সবাজার ও তৎসংলগ্ন উপকূলীয় এলাকায় মোখার অগ্রভাগের প্রভাব শুরু হতে পারে।

ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর খুবই বিক্ষুব্ধ থাকার কারণে উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারসহ জেলেদেরকে পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।