চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত, এনবিআরের ১৪ কর্মকর্তা ওএসডি

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) ১৪ কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে সরকার। বদলির সরকারি আদেশ অমান্য এবং প্রকাশ্যে আদেশের কপি ছিঁড়ে ফেলাসহ ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণের অভিযোগে এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের (আইআরডি) সচিব ও এনবিআর চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খানের সই করা পৃথক প্রজ্ঞাপন সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
বরখাস্ত হওয়া কর্মকর্তাদের মধ্যে কাস্টমস বিভাগের ৫ জন, আয়কর বিভাগের ৯ জন রয়েছেন। এদের সবাইকে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) হিসেবে এনবিআরে সংযুক্ত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সরকারি কর্মচারীদের বেতন সমন্বয়ে জাতীয় বেতন কমিশনের প্রথম সভা আজ
বরখাস্ত হওয়া কর্মকর্তারা হলেন:
১. সিফাত-ই-মরিয়ম – উপ-প্রকল্প পরিচালক, ন্যাশনাল সিঙ্গেল উইন্ডো প্রকল্প (অতিরিক্ত কমিশনার)
আরও পড়ুন: সেনাবাহিনী প্রধানের নামে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কোনো অ্যাকাউন্ট নেই: আইএসপিআর
২. হাছান মুহম্মদ তারেক রিকাবদার – অতিরিক্ত কমিশনার, ভ্যাট গোয়েন্দা
৩. মো. শাহাদাত জামিল – দ্বিতীয় সচিব, ভ্যাট বাস্তবায়ন সেবা ও আবগারি
৪. মির্জা আশিক রানা – অতিরিক্ত কর কমিশনার, কর অঞ্চল-৮
৫. মাসুমা খাতুন – যুগ্ম কর কমিশনার, কর অঞ্চল-২
6. মুরাদ আহমেদ – যুগ্ম কর কমিশনার, কর অঞ্চল-১৫
৭. মোহাম্মদ মোরশেদ উদ্দীন খান – যুগ্ম কর কমিশনার, কুষ্টিয়া কর অঞ্চল
৮. মোনালিসা শাহরীন সুস্মিতা – যুগ্ম কর কমিশনার, নোয়াখালী কর অঞ্চল
৯. মো. আশরাফুল আলম প্রধান – যুগ্ম কর কমিশনার, কক্সবাজার কর অঞ্চল
১০. মোহাম্মদ শিহাবুল ইসলাম – উপ কর কমিশনার, খুলনা কর অঞ্চল
১১. মোসা. নুশরাত জাহান শমী – উপ কর কমিশনার, রংপুর কর অঞ্চল
১২. ইমাম তৌহিদ হাসান শাকিল – উপ কর কমিশনার, কুমিল্লা কর অঞ্চল
১৩. শফিউল বশর – রাজস্ব কর্মকর্তা, কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট, খুলনা
১৪. সবুজ মিয়া – রাজস্ব কর্মকর্তা, কাস্টমস বন্ড কমিশনারেট, ঢাকা (উত্তর)
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, বদলির সরকারি আদেশ অবজ্ঞা করে প্রকাশ্যে ছিঁড়ে ফেলা এবং ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করার অভিযোগে বিভাগীয় তদন্তপূর্বক এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮-এর ৩৯(১) ধারা অনুযায়ী এ বরখাস্ত কার্যকর করা হয়। বরখাস্তকালীন সময়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা নিয়ম অনুযায়ী খোরপোষ ভাতা পাবেন।
উল্লেখ্য, বরখাস্ত হওয়া কর্মকর্তারা ‘এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদ’ ব্যানারে এনবিআর বিলুপ্তির অধ্যাদেশ বাতিল এবং এনবিআর চেয়ারম্যানের অপসারণসহ বিভিন্ন দাবিতে চলমান আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে যুক্ত ছিলেন।
এই বরখাস্তকে কেন্দ্র করে এনবিআরের অভ্যন্তরে ফের অসন্তোষের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।