জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রায় তিন হাজার কোটি টাকার বাজেট

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য প্রায় ২,৯০০ কোটি টাকার বাজেট চূড়ান্ত করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি), যা গতবারের চেয়ে প্রায় ১,০০০ কোটি টাকা বেশি। এবার নির্বাচনি খরচ বাড়ানোর পেছনে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, প্রবাসীদের ভোটাধিকার প্রয়োগ এবং আনুষঙ্গিক ব্যয় বৃদ্ধি অন্যতম কারণ।
নির্বাচন পরিচালনায় ১ হাজার ২০০ কোটি এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ১ হাজার ৭০০ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। সবচেয়ে বেশি ব্যয় হবে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের পেছনে, যার পরিমাণ প্রায় ৫৩৫ কোটি টাকা। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সবচেয়ে বড় ব্যয় ধরা হয়েছে আনসার, পুলিশ, র্যাব, বিজিবি ও অন্যান্য বাহিনীর জন্য।
আরও পড়ুন: নাফ নদীর পাড়ে কয়েকশ রোহিঙ্গা, বাংলাদেশে প্রবেশে বাধা
এবার নির্বাচনে ২২টি খাতে ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে, যেখানে আগে ছিল ১৮টি খাত। বিভিন্ন ব্যয়ের মধ্যে রয়েছে ব্যালট পেপার ও নির্বাচনি সামগ্রীর পরিবহন, কর্মকর্তাদের ভাতা, যাতায়াত খরচ, আপ্যায়ন ও অন্যান্য প্রশাসনিক ব্যয়।
একনজরে নির্বাচনি ব্যয়
আরও পড়ুন: এজাহারভুক্ত সব পুলিশ কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করতে লিগ্যাল নোটিশ
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এক হাজার ৯০০ কোটি টাকা বরাদ্দ থাকলেও নির্বাচন পরিচালনায় ৬০০ কোটি টাকা এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পেছনে ব্যয় হয় এক হাজার ৪০০ কোটি টাকা। এর আগের একাদশ সংসদে নির্বাচনে মোট ৭০০ কোটি টাকা বরাদ্দ থাকলেও পরে তা আরো বেড়ে হাজার কোটি টাকায় দাঁড়ায়। একইভাবে দশম সংসদে নির্বাচনে মোট ব্যয় ছিল প্রায় ২৬৪ কোটি ৬৮ লাখ টাকা। নবম সংসদে ভোটে ১৬৫ কোটি টাকা ব্যয় হয়। অষ্টম সংসদ নির্বাচনে মোট ব্যয় হয় ৭২ কোটি ৭১ লাখ টাকা। সপ্তম সংসদে পরিচালনা বাবদ ব্যয় ১১ কোটি ৪৭ লাখ টাকা। ষষ্ঠ জাতীয় নির্বাচনে মোট ৩৭ কোটি টাকা।
পঞ্চম সংসদ নির্বাচন পরিচালনা ও আইনশৃঙ্খলা খাতে ব্যয় হয় ২৪ কোটি ৩৭ লাখ টাকা। চতুর্থ সংসদে পাঁচ কোটি ১৫ লাখ টাকা; তৃতীয় সংসদের পাঁচ কোটি ১৬ লাখ টাকা, দ্বিতীয় সংসদে দুই কোটি ৫২ লাখ টাকা এবং প্রথম সংসদ নির্বাচনে ব্যয় ছিল ৮১ লাখ ৩৬ হাজার টাকা।