বাংলা নববর্ষ উদযাপনে মানতে হবে কিছু বিধিনিষেধ

Abid Rayhan Jaki
বাংলাবাজার ডেস্ক
প্রকাশিত: ৫:২৪ অপরাহ্ন, ২৭ মার্চ ২০২৪ | আপডেট: ১১:২৪ পূর্বাহ্ন, ২৭ মার্চ ২০২৪
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

বাংলা নববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সভাপতিত্বে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে নববর্ষ উদযাপনে বেশ কিছু বিধিনিষেধের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।

বুধবার (২৭ মার্চ) সচিবালয়ে সভাটি অনুষ্ঠিত হয়। পরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সিদ্ধান্তগুলো জানানো হয়েছে।

আরও পড়ুন: শ্রীপুরে খালেদা জিয়ার জন্মদিনে দোয়া, দুস্থদের মধ্যে বস্ত্র বিতরণ

এতে বলা হয়েছে, দেশব্যাপী বর্ষবরণ অনুষ্ঠান, বৈশাখী মেলা, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসন, জেলা পুলিশ ও আয়োজকরা সমন্বয় করে নিরাপত্তা নিশ্চিত করবেন। রমনার বটমূল, রমনা পার্ক, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, হাতিরঝিল ও রবীন্দ্র সরোবরসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ডগস্কোয়াড দিয়ে সুইপিং করা হবে। এসব অনুষ্ঠানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রয়োজনীয় ফোর্স ও গোয়েন্দা সংস্থার বিশেষ নজরদারি থাকবে। নববর্ষ উদযাপন নিয়ে ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যারা অপপ্রচার চালানোর চেষ্টা করছে তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, বাংলা একাডেমি ও বিসিক বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে নববর্ষের মেলায় প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। রমনা পার্ক, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, হাতিরঝিল ও রবীন্দ্র সরোবরসহ নববর্ষের সব অনুষ্ঠান সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে শেষ করতে হবে।

আরও পড়ুন: সেনাবাহিনীর অভিযানে খাগড়াছড়িতে অস্ত্রগুলি সহ আটক ১

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে নিজস্ব নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকতে হবে। নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সমন্বয় করে নিরাপত্তা দেবে। নববর্ষে কূটনৈতিক এলাকাসহ গুরুত্বপূর্ণ এলাকা ও স্থাপনার বিশেষ নিরাপত্তা প্রদান করা হবে। নববর্ষ উদযাপনকালে ঢাকা মহানগরের অনুষ্ঠানে ও সারাদেশে অনুষ্ঠেয় অনুষ্ঠানে গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে অগ্নিনির্বাপক গাড়ি ও অ্যাম্বুলেন্সসহ ফায়ার সার্ভিস টিম থাকবে। মেডিকেল টিম থাকবে। এছাড়া বর্ষবরণের অনুষ্ঠানে ইভটিজিং, ছিনতাই, পকেটমারসহ যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা প্রতিরোধে মোবাইল কোর্ট ও গোয়েন্দা বাহিনী নিয়োজিত থাকবে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে ভুভুজেলা বাঁশি বাজানো নিষিদ্ধ থাকবে। নববর্ষে দেশের কারাগারে উন্নত মানের খাবার পরিবেশন করা হবে এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও আয়োজন করা হবে। কোন ধরনের ফানুস বা আতশবাজি ফুটানো যাবে না। বাংলা নববর্ষে মাদকের অপব্যবহার রোধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।