সংখ্যালঘুর জাল ও নৌকা পুড়ে ক্ষতি, ১৪ দিনেও মামলা নেয়নি নিকলী থানা পুলিশ

প্রায় ১৪ দিন অতিবাহিত হয়ে গেলেও নিকলীতে পেট্রোল দিয়ে সংখ্যালঘুর জাল ও নৌকা পুড়িয়ে ফেলার ঘটনার মামলা নেয়া থেকে বিরত রয়েছে নিকলী থানা পুলিশ।
গত ৭ ডিসেম্বর দিবাগত রাতে নিকলী উপজেলার গুরুই ইউনিয়নের পাড়াবাড়িতপুর মধ্যপাড়া গ্রামের প্রমোদ দাশের একটি নৌকা ও নৌকায় একটি বড় গণ বেড় জাল বাড়ির পাশেই নদীতে রাখা অবস্থায় দুর্বৃত্তরা অগ্নুৎপাত ঘটায়। উল্লেখিত তারিখ ও সময়ে একদল দুর্বৃত্ত নদীতে থাকা প্রমোদ দাসের জাল ও নৌকায় পেট্রোল দিয়ে আগুন দেয়। এ ব্যাপারে ঘটনার দিন প্রমোদ দাস বাদী হয়ে ৩ জনকে আসামি করে নিকলী থানায় একটি এজাহার দায়ের করে।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে আসামিরা এক সময় বাদির সাথে জাল দিয়ে মাছ ধরার কাজে নিয়োজিত ছিল। একসময় আসামিরা বাদির সাথে বিরোধ করে আলাদা হয়ে যায়। এরপর থেকে আসামিরা বাদির ক্ষতিসাধন করার জন্য তৎপর হয়ে উঠে। ঘটনার উল্লেখিত তারিখ ও সময়ে আসামিগণ জাল ও নৌকায় আগুন দিলে আগুন দাউ দাউ করে জ্বলে উঠলে বাদি সাক্ষী গনসহ আরো লোকজন নৌকার কাছে যাবার সময় আসামিগণ পেট্রোলের বোতলসহ দৌড়াইয়া আসামিগণের বাড়ির দিকে যাইতে দেখে।
ঘটনার দিন অর্থাৎ ৮ ডিসেম্বর এ ব্যাপারে একটি এজাহার দায়ের করা হলেও প্রায় ১৪ দিন অতিবাহিত হয়ে গেলেও নিকলী থানা অফিসার ইনচার্জ আসামির পক্ষে প্রভাবিত হয়ে এজাহারটি একটি নিয়মিত মামলা হিসেবে রুজু করা থেকে বিরত রয়েছেন। মামলার বাদী বিচারের দাবিতে দ্বারে দ্বারে ঘুরছে এবং নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে ।
পুড়ে যাওয়া জাল দিয়ে গুরুই ইউনিয়নের ৪০টি পরিবার নদীতে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করত। আসামিগণ জাল ও নৌকা পুড়ে ফেলায় ৪০টি পরিবার কর্মহীন হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে।
এ ব্যাপারে নিকলী থানার অফিসার ইনচার্জ কাজী আরিফ উদ্দিন এর বিরুদ্ধে অভিযোগ থানায় মামলা দেওয়া হলো এখনো মামলা নেন। উল্টো আসামিদের নাম্বার দিয়ে বেনামে আসামি করার জন্য বাঁ দিকে চাপ দিচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।