চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল
বারবার ডেকেও এলেন না চিকিৎসক, মারা গেছেন বৃদ্ধা

বারবার ডেকেও চিকিৎসক না আসায় মোমিন মালিতা পানু (৮০) নামে এক বৃদ্ধ রোগীর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন স্বজনরা।
সোমবার রাত ১০ টার দিকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের পুরুষ ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে। এসময় হাসপাতালে জুড়ে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
আরও পড়ুন: বিজিবির হেলিকপ্টারে ঢাকায় আনা হলো আহত হাতির চিকিৎসায় গিয়ে গুরুতর আহত ২ চিকিৎসকসহ ৩ জনকে
আব্দুল মোমিন পানু জেলার দামুড়হুদা উপজেলার গোপালপুর গ্রামের বাসিন্দা এবং মৃত হায়দার মালিতার ছেলে।
জানা গেছে, সোমবার (৫ মে) রাত ১০ টার দিকে সদর হাসপাতালের পুরুষ মেডিসিন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন মোমিন মালিতা পানু। স্বজনরা একাধিকবার জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. আব্দুল কাদেরকে ওয়ার্ডে আসার অনুরোধ করেন। কিন্তু তিনি নিজে না গিয়ে একজন ইন্টার্ন চিকিৎসক পাঠান। পরে প্রায় ২০ মিনিট পর তিনি এসে রোগীর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
আরও পড়ুন: ভোলাগঞ্জে শত কোটি টাকার পাথর লুট: পাঁচজন আটক
মৃতের বড় ছেলে মাসুদ আল মাহমুদ তুষার বলেন, আমার বাবা গত ৪ দিন ধরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। রাতে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে আমরা বারবার চিকিৎসককে ডাকলেও তিনি আসেননি। সময়মতো চিকিৎসা পেলে হয়তো বাবা বেঁচে যেতেন।
ঘটনার পর স্বজনরা ক্ষুব্ধ হয়ে চিকিৎসকের ওপর চড়াও হন। তাদের সঙ্গে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় হয় চিকিৎসকের। পরে হাসপাতালে দায়িত্বে থাকা পুলিশ সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
চিকিৎসক ডা. আব্দুল কাদের বলেন, জরুরি বিভাগে সবসময় রোগীর চাপ থাকে। প্রথমে ইন্টার্ন চিকিৎসক পাঠানো হয় এবং তাদের রিপোর্ট অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হয়। তবে রোগীর স্বজনরা আমাদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার ও মারধরের চেষ্টা করেন, ফলে পুলিশের সহায়তা নিতে হয়।
রাত ১১টার দিকে আব্দুল মোমিন মালিতা পানুর মরদেহ অ্যাম্বুলেন্সযোগে গ্রামের বাড়ি গোপালপুরে নেয়া হয়।
এ বিষয়ে জানতে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ও আরএমওকে একাধিকবার মোবাইলে যোগযোগ করার চেষ্টা করা হলেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।