পাটগ্রাম থানায় হামলা চালিয়ে সাজাপ্রাপ্ত ২ আসামি ছিনতাই, ওসিসহ আহত ২০
লালমনিরহাটের পাটগ্রাম থানায় সাজাপ্রাপ্ত দুই আসামিকে ছিনিয়ে নিতে দুর্বৃত্তদের হামলার ঘটনায় চরম উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
বুধবার (২ জুলাই) রাত সাড়ে ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: নবীনগরে বিএনপি মনোনীত প্রার্থীর মনোনয়নপত্র সংগ্রহ
এ ঘটনায় আহত হয়েছেন থানার ওসিসহ অন্তত ২০ জন, যাদের মধ্যে দুই পুলিশ সদস্যের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, রাতের নির্ধারিত সময় পেরিয়ে গেলে হঠাৎ ২০০-২৫০ জনের একটি সংঘবদ্ধ দল থানার চত্বরে ঢুকে ভাঙচুর শুরু করে। হামলাকারীরা থানার চেয়ার-টেবিল, কম্পিউটার, ল্যাপটপসহ প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম নষ্ট করে ফেলে এবং ইট-পাটকেল ছুড়ে জানালার কাঁচ ও দরজা ভেঙে ফেলে।
আরও পড়ুন: জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে নিহত উলিপুরের সেনা সদস্য মমিনুল ইসলামের মরদেহ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন
থানার ওসি মিজানুর রহমান জানান, পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশ বাধা দিলে হামলাকারীরা আরও বেপরোয়া হয়ে ওঠে। পুলিশ টিয়ারশেল ছুড়লেও উত্তেজনা কমেনি। গুরুতর আহত দুই পুলিশ সদস্যকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে, আর তিনি নিজেসহ ছয়জন পাটগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন।
ছিনিয়ে নেওয়া দুই আসামি হলেন- পাটগ্রাম উপজেলার মমিনপুর গ্রামের লিয়াকত আলীর ছেলে বেলাল হোসেন (৩৩) এবং একই উপজেলার মির্জারকোট গ্রামের সামসুল হকের ছেলে সোহেল রানা চপল (৩৫)। তারা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য বলে জানা গেছে।
তিনি আরও জানান, হামলাকারীরা জোরপূর্বক হাজতখানার তালা খুলে সাজাপ্রাপ্ত আসামি বেলাল হোসেন ও সোহেল রানা চপলকে ছিনিয়ে নেয়। এই দুইজনকে সন্ধ্যায় সরোরবাজার এলাকায় চাঁদাবাজির সময় হাতেনাতে আটক করা হয়। এরপর ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে পাটগ্রাম ইউএনও উত্তম কুমার দাশ তাদের এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন।
ঘটনার পর পরই লালমনিরহাট, হাতিবান্ধা ও কালীগঞ্জ থানা থেকে অতিরিক্ত পুলিশ, সেনাবাহিনী ও বিজিবি সদস্যদের পাঠিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।
লালমনিরহাটের পুলিশ সুপার মো. তরিকুল ইসলাম বলেন, “আমি ঘটনাস্থলে আছি। ডিআইজি স্যার ও জেলা প্রশাসকও উপস্থিত হয়েছেন। তদন্ত চলছে, বিস্তারিত পরে জানানো হবে।”





