কুষ্টিয়ার উদয়পুরে পদ্মা নদীর ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে বিজিবি

Sanchoy Biswas
বাংলাবাজার রিপোর্ট
প্রকাশিত: ১০:৪৬ অপরাহ্ন, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫ | আপডেট: ১০:৪৬ অপরাহ্ন, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

কুষ্টিয়ার সীমান্তবর্তী উদয়পুর এলাকায় প্রমত্তা পদ্মা নদীর ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত ১১৫টি দুস্থ ও অসহায় পরিবারের মাঝে জরুরি ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।

বিজিবির কুষ্টিয়া ব্যাটালিয়ন (৪৭ বিজিবি) এর ব্যবস্থাপনায় উদয়নগর বিওপির দায়িত্বপূর্ণ সীমান্তবর্তী এলাকায় এ ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম সম্পন্ন হয়। কুষ্টিয়ার যশোর রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইয়াসির জাহান হোসেন ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে চাল, ডাল, তেল, লবণ, চিনি এবং অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী বিতরণ করেন।

আরও পড়ুন: অমানবিক পুশইনের শিকার অন্তঃসত্ত্বা ভারতীয় নারী সোনালী খাতুনকে বিএসএফের কাছে হস্তান্তর করলো বিজিবি

রিজিয়ন কমান্ডার জানান, প্রমত্তা পদ্মা নদীর ভাঙনে উদয়পুর বিওপি নদীগর্ভে বিলীন হলেও সীমান্ত সুরক্ষার কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। সীমান্তে নিরাপত্তা শূন্যতা এড়াতে অস্থায়ী ক্যাম্প স্থাপন ও নৌযান ব্যবহার করে টহল জোরদার করা হয়েছে। এছাড়াও পূর্ববর্তী অবস্থানের নিকটে নতুন বিওপি নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, পদ্মা নদীর ভাঙনে শুধু বিজিবির বিওপি বিলীন হয়নি, বরং এলাকার অনেকগুলো ঘরবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে অসংখ্য মানুষ গৃহহীন ও অসহায় হয়েছে। মানবিক দায়বদ্ধতার অংশ হিসেবে বিজিবি ক্ষতিগ্রস্ত ১১৫টি পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছে।

আরও পড়ুন: জামালপুরের আলোচিত মনিরুল হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে গ্রেফতার

রিজিয়ন কমান্ডার যোগ করেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগ আমাদের অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে, কিন্তু সীমান্ত সুরক্ষা ও জনগণের স্বার্থ রক্ষায় বিজিবির মনোবল ও দায়িত্ব পালন অটুট রয়েছে। অস্থায়ী ক্যাম্প স্থাপন, ইঞ্জিনচালিত নৌকা, স্পিডবোট ও রেসকিউ বোট ব্যবহার করে বিজিবি ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা করছে।

ত্রাণ বিতরণকালে কুষ্টিয়া সেক্টর কমান্ডার, কুষ্টিয়া ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক, বিজিবির অন্যান্য কর্মকর্তা ও সদস্যবৃন্দ, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি এবং বিভিন্ন মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, গত ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখে বিজিবির উদয়নগর বিওপি পদ্মা নদীর প্রবল স্রোতে নদীগর্ভে বিলীন হয়। এর আগে আগস্ট মাসে ঝুঁকি বিবেচনায় বেশিরভাগ সরঞ্জামাদি চরচিলমারী বিওপিতে সরিয়ে নেওয়া হয়। পরে অবশিষ্ট অস্ত্র, গোলাবারুদ, অফিসিয়াল নথিপত্র, যানবাহন ও জনবল নিরাপদে স্থানান্তর করা হয়েছে। ফলে বর্তমানে উদয়নগর বিওপির সকল সদস্য ও গুরুত্বপূর্ণ কন্ট্রোল আইটেম সম্পূর্ণ নিরাপদ রয়েছে।