সাংবাদিকদের হুমকি দেওয়া যুবশক্তির সেই দুই নেতাকে অব্যাহতি

Sadek Ali
এম এম মামুন, রাজশাহী
প্রকাশিত: ১:০৯ অপরাহ্ন, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৫ | আপডেট: ১০:২০ পূর্বাহ্ন, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

রাজশাহীতে এনসিপির সংবাদ সম্মেলন চলা অবস্থায় সাংবাদিকদের তালাবদ্ধ করে রাখার হুমকির ঘটনায় জাতীয় যুবশক্তির দুই নেতা মো. মেহেদী হাসান ও সোয়াইব আহমেদকে সাময়িকভাবে সকল সাংগঠনিক দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) রাতে সংগঠনের যুগ্ম সদস্য সচিব (দপ্তর) আসাদুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

আরও পড়ুন: অমানবিক পুশইনের শিকার অন্তঃসত্ত্বা ভারতীয় নারী সোনালী খাতুনকে বিএসএফের কাছে হস্তান্তর করলো বিজিবি

সংগঠনের শৃঙ্খলা ভঙ্গের গুরুতর অভিযোগের ভিত্তিতে গঠনতান্ত্রিক নিয়ম অনুসারে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন দলের শীর্ষ নেতারা। একইসঙ্গে আগামী ২ কার্যদিবসের মধ্যে কেন তাদের স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে না-সে বিষয়ে লিখিত ব্যাখ্যা জমা দিতে বলা হয়েছে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই উভয়কে সশরীরে উপস্থিত হয়ে জবাব দিতে হবে।কমিটির আহ্বায়ক এডভোকেট তারিকুল ইসলাম এবং সদস্য সচিব ডা. জাহেদুল ইসলামের স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সংগঠনের ভাবমূর্তি রক্ষা ও শৃঙ্খলা অক্ষুণ্ণ রাখতে এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সময়মতো যথাযথ ব্যাখ্যা দিতে ব্যর্থ হলে গঠনতন্ত্র অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে আরও কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

গত সোমবার রাজশাহী পর্যটন মোটেলে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নতুন জেলা কমিটির পরিচিতি সভা চলছিল। ওই সভা পণ্ড করতে উপস্থিত হন মেহেদী হাসান ফারাবি ও সোয়াইব আহমেদসহ দলের কয়েকজন নেতা। তারা অভিযোগ তোলেন, নতুন জেলা আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম আওয়ামী লীগের ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিত্ব-তাই তার পদত্যাগ দাবি করেন।

আরও পড়ুন: জামালপুরের আলোচিত মনিরুল হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে গ্রেফতার

এ সময় সাংবাদিকরা সম্মেলনকক্ষে সাইফুল ইসলামের বক্তব্য নিতে গেলে সেখানে ঢুকে পড়েন সোয়াইব এবং মেহেদী ফারাবি। প্রবেশ করেই সোয়াইব সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলেন,“এটা যদি এখনই বন্ধ না করেন, আপনাদেরসহ আমরা তালা মেরে দেব। পায়খানা-প্রস্রাব সব এখানেই করতে হবে।”ফারাবি আরও যোগ করেন, “এত লোক বাইরে বসে আছে, আপনারা এখানে ফাইজলামি করছেন নাকি?”

সাংবাদিকরা আপত্তি না জানালে সোয়াইব আবারো হুমকি দেন, “এখনই বন্ধ না করলে আপনাদেরও তালা মেরে দেব।”এই ঘটনাটির ভিডিও দ্রুত সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়।