স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার কার্যালয় ঘেরাওয়ের ডাক সাদিক কায়েমের
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদিকে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবিতে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার কার্যালয় ঘেরাওয়ের ডাক দিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) ভিপি সাদিক কায়েম। রোববার (১৪ ডিসেম্বর) রাতে নিজের ফেসবুক পোস্টে তিনি এ কর্মসূচির ঘোষণা দেন।
ফেসবুক পোস্টে সাদিক কায়েম জানান, সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাকসুতে ছাত্র-জনতাকে স্বতঃস্ফূর্তভাবে উপস্থিত থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে। তিনি বলেন, “আমাদের ভাই ওসমান হাদিকে গুলি করে হত্যাচেষ্টায় জড়িত সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার, দেশব্যাপী অভিযান চালিয়ে সব অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার এবং নিষিদ্ধ লীগের সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার কার্যালয় ঘেরাও করা হবে।”
আরও পড়ুন: পাকিস্তানি বাহিনীর বুদ্ধিজীবীদের হত্যার বিষয়টি অবান্তর: চবি উপ-উপাচার্য
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) রাজধানীর বিজয়নগর বক্স কালভার্ট এলাকায় রিকশায় করে যাওয়ার সময় ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির ওপর সশস্ত্র হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা। একটি মোটরসাইকেলে করে এসে খুব কাছ থেকে তার মাথায় গুলি করে পালিয়ে যায় দুই আততায়ী। এ ঘটনার পর থেকে সারাদেশে ব্যাপক প্রতিবাদ কর্মসূচি চলছে।
বর্তমানে গুরুতর আহত শরিফ ওসমান হাদি রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। রোববার প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নির্দেশে এক জরুরি কল কনফারেন্সে এ সিদ্ধান্ত হয়। এতে অংশ নেন সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী, প্রধান উপদেষ্টার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বিষয়ক বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমান, এভারকেয়ার হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডা. জাফর এবং হাদির ভাই ওমর বিন হাদি।
আরও পড়ুন: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগ সহ ছাত্র অধিকার পরিষদের ৫ দফা দাবি
এদিকে, হামলার ঘটনায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলের চালকসহ সন্দেহভাজন কয়েকজনকে আটক করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। রোববার রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে র্যাব তিনজন সন্দেহভাজনকে আটক করে। আটকরা হলেন—হাদিকে গুলি করা ফয়সাল করিম মাসুদের স্ত্রী সামিয়া, বান্ধবী মারিয়া এবং শ্যালক শিপু। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র্যাবের মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার এম জেড এম ইন্তেখাব চৌধুরী।
র্যাব জানায়, মূল অভিযুক্ত ফয়সাল করিম মাসুদের স্বাক্ষর করা বিপুল পরিমাণ চেকবই এবং গুরুত্বপূর্ণ ইলেকট্রনিক ডিভাইস উদ্ধার করা হয়েছে। আটক সন্দেহভাজনদের পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
অন্যদিকে, পুলিশের পক্ষ থেকেও হামলাকারীদের শনাক্ত করার তথ্য জানানো হয়েছে। রোববার বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার নজরুল ইসলাম জানান, হামলায় জড়িত দুইজন হলেন ফয়সাল করিম মাসুদ ও আলমগীর শেখ। তিনি বলেন, মোটরসাইকেলের পেছনে বসে ফয়সাল গুলি চালায় এবং আলমগীর মোটরসাইকেল চালকের ভূমিকায় ছিল।





