আওয়ামী লীগের ইশতেহার ঘোষণা আজ

বাংলাবাজার পত্রিকা রিপোর্ট
প্রকাশিত: ১০:৪০ পূর্বাহ্ন, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৩ | আপডেট: ৫:৪১ পূর্বাহ্ন, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৩
ছবি : সংগৃহীত
ছবি : সংগৃহীত

আজ বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) আওয়ামী লীগ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ইশতেহার  ঘোষণা করবে।

রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে সকাল সাড়ে ১০টায় দলের সভাপতি শেখ হাসিনা এ ইশতেহার উপস্থাপন করবেন।

আরও পড়ুন: ধ্বংস্তূপ থেকে আবার দেশকে টেনে তুলবে বিএনপি: তারেক রহমান

ইশতেহার প্রণয়ন কমিটির সদস্যরা জানান, প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের পর এবার স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্য নিয়ে দুর্নীতি প্রতিরোধে বিশেষ পদক্ষেপ, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ এবং আর্থিক খাতে সুশাসনের ওপর জোর দিয়ে আসন্ন নির্বাচনের ইশতেহার প্রস্তুত করা হয়েছে।

ইশতেহার প্রণয়ন কমিটির আহ্বায়ক ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ড. আবদুর রাজ্জাক জানান, গণমানুষের দল আওয়ামী লীগের ইশতেহার শুধু একটি দলীয় ইশতেহার নয়। এটি প্রকৃত অর্থে পুরো জাতির ইশতেহার। আসন্ন নির্বাচনে দেশের মানুষ আওয়ামী লীগের কাছ থেকে কী প্রত্যাশা করছে, তা দলের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এর আগে আওয়ামী লীগ তার প্রতিটি নির্বাচনী ইশতেহারে জাতিকে দেওয়া অঙ্গীকার শতভাগ প্রতিপালন করেছে। শুধু তা-ই নয়, আওয়ামী লীগ প্রতিটি ইশতেহারে সরকারের নির্দিষ্ট মেয়াদের বাইরে দীর্ঘমেয়াদি নানা উন্নয়নের পথনকশা তৈরি করেছে। এর প্রতিটি অত্যন্ত সুচারুভাবে বাস্তবায়িত হয়েছে।

আরও পড়ুন: আগুনে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় দৃশ্যমান বিচার চায় জনগণ: রুহুল কবির রিজভী

তিনি বলেন, এবারও নির্বাচনী ইশতেহার হবে স্মার্ট এবং গণমুখী। স্মার্ট বাংলাদেশের মাধ্যমে মানুষের কাছে আধুনিক প্রযুক্তি পৌঁছে দেওয়ার পাশাপাশি দৃশ্যমান যে উন্নয়নগুলো হয়েছে, তার মাধ্যমে আগামী দিনে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা হবে। আগামী দিনে যুবসমাজের জন্য কর্মসংস্থান সৃষ্টি করাই হবে এবারের মূল প্রতিপাদ্য। স্মার্ট বাংলাদেশের লক্ষ্য হবে শিল্পকারখানা স্থাপন করে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীদের নিয়ে শিল্পায়ন ত্বরান্বিত করা, কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা এবং মানুষের আয় বৃদ্ধি করা।

প্রসঙ্গত, গত ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে ২৫ সদস্যের ইশতেহার প্রণয়ন কমিটি কাজ শুরু করে। কমিটিতে আহ্বায়ক করা হয় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আব্দুর রাজ্জাককে। এরপর কমিটি ইশতেহারের একটি খসড়া তৈরি করে। খসড়া থেকে পরে দলের সভাপতি শেখ হাসিনার নির্দেশনায় তৈরি হয় চূড়ান্ত ইশতেহার।

২০১৮ সালে ‘সমৃদ্ধির অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশ’ শিরোনামে ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ এবং ২১০০ সালের মধ্যে ‘নিরাপদ ব-দ্বীপ’ গড়ে তোলার পরিকল্পনা তুলে ধরা হয় ইশতেহারে। সেখানে প্রতিটি গ্রামে নাগরিক সুবিধা পৌঁছে দেওয়া, যুবসমাজকে দক্ষ জনশক্তিতে রূপান্তর, কর্মসংস্থান নিশ্চিত করার পাশাপাশি সমৃদ্ধির অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশকে আরও এগিয়ে নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়।