বান্দরবানে টানা বৃষ্টিতে পাহাড় ধসের শঙ্কা, সতর্ক থাকার নির্দেশ

Abid Rayhan Jaki
বাংলাবাজার ডেস্ক
প্রকাশিত: ৬:৩৯ অপরাহ্ন, ০১ জুলাই ২০২৪ | আপডেট: ২:২৮ অপরাহ্ন, ০১ জুলাই ২০২৪
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

টানা বৃষ্টির কারণে বান্দরবানে পাহাড় ধসের শঙ্কা দেখা দিয়েছে। জেলা প্রশাসন ও পৌরসভা ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে সরে যেতে বারবার সতর্ক করে দিচ্ছে।

রোববার থেকে শুরু হওয়া বৃষ্টির ফলে জেলা শহরের নিম্নাঞ্চলের কিছু এলাকা পানিতে তলিয়ে গেছে। এছাড়াও, সোমবার সকালে বান্দরবান-রুমা সড়কের দলিয়ান পাড়া এলাকায় পাহাড় ধসে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। সেনাবাহিনী, ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয়দের সহায়তায় দুপুরের পর যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

আরও পড়ুন: কাশিয়ানীতে অবৈধ ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলনের মহাযজ্ঞ

জানা যায়, জেলা শহরের টাংকি পাহাড়, বালাঘাটা, কালাঘাটা, ইসলামপুর, হাফেজঘোনা, বনরুপাড়াসহ বিভিন্ন এলাকার পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় কয়েকশ মানুষের বসবাস। এছাড়া লামা, আলীকদম ও নাইক্ষ্যংছড়িতে প্রায় ৫০ হাজার মানুষ ঝুঁকি নিয়ে পাহাড়ের পাদদেশে বসবাস করছে। টানা বৃষ্টি হলেই এসব এলাকায় পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটে। 

২০২৩ সালে বান্দরবান সদর উপজেলার কালাঘাটা, টংকাবতি, নাইক্ষ্যংছড়ি, লামা ও থানচিতে ১০ জন নিহত হয়েছিলেন। গত মাসের ২৯ জুন নাইক্ষ্যংছড়ির ফুলতলি এলাকায় কৃষিকাজ করতে গিয়ে আবু বক্কর (৫৫) নামের এক কৃষকের মৃত্যু হয়। পাহাড় ধসে গত পাঁচ বছরে মৃত্যু হয়েছে প্রায় ৬০ জনের।

আরও পড়ুন: টঙ্গীতে পরিত্যক্ত কার্টুন থেকে মানুষের খণ্ডিত পা উদ্ধার

পাহাড়ধসে প্রাণনাশের ঝুঁকি এড়াতে পাহাড়ের পাদদেশে বসবাসকারীদের নিরাপদ স্থানে সরে যেতে জেলা প্রশাসনের পাশাপাশি ইউনিয়ন পর্যায়েও মাইকিং করা হচ্ছে।

বান্দরবানের পৌর মেয়র শামসুল ইসলাম জানান, পৌরসভার ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় বসবাসকারীদের নিরাপদ স্থানে সরে যেতে প্রচারণা চালাতে মাইকিং করা হচ্ছে। দুর্যোগ মোকাবিলায় পৌর এলাকায় ১৯টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে।

জেলা আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সনাতন কুমার মন্ডল বলেন, আগামী ৭২ ঘণ্টা মাঝারি থেকে ভারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ১০৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।