সহকর্মী দ্বারা শারীরিক ও মানসিক হেনস্থার অভিযোগ রাবি অধ্যাপকের

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) চারুকলা অনুষদের এক সাধারণ সভায় সহকর্মীর হাতে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত হওয়ার অভিযোগ তুলেছেন চারুকলা অনুষদের চিত্রকলা, প্রাচ্যকলা ও ছাপচিত্র বিভাগের অধ্যাপক ড. আবদুস সোবাহান। অভিযুক্ত শিক্ষক হলেন মৃৎশিল্প ও ভাস্কর্য বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আব্দুস সালাম।
বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়ে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন অধ্যাপক ড. আবদুস সোবাহান।
আরও পড়ুন: ৪০ কেজি গাঁজাসহ বরখাস্ত পুলিশ সদস্য গ্রেপ্তার
অভিযোগপত্রে ড. আবদুস সোবাহান উল্লেখ করেন, গত ২ জুলাই (বুধবার) চারুকলা অনুষদের অধিকর্তার কক্ষে অনুষদের ২৯তম সাধারণসভা চলাকালীন ১৯ নম্বর এজেন্ডা নিয়ে মতামত দেন তিনি। এজেন্ডাটি ছিল—অনুষদভুক্ত বিভাগসমূহে সান্ধ্যকালীন মাস্টার্সসহ চারুকলায় ডিপ্লোমা ও সার্টিফিকেট প্রোগ্রাম চালুকরণ প্রসঙ্গে। সভায় অধ্যাপক সোবাহান বলেন, এ ধরনের কোর্স চালু হলে অনুষদের স্বকীয়তা নষ্ট হতে পারে এবং এটি নিয়মিত শিক্ষার্থীদের স্বার্থের পরিপন্থী।
তিনি আরও উল্লেখ করেন, “আমি বলি, সান্ধ্যকালীন মাস্টার্সসহ ডিপ্লোমা ও সার্টিফিকেট প্রোগ্রামের বিষয়গুলো বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের সময় চালু হয়েছিল। ফলে অনুষদের অধিকর্তকে নিয়মিত শিক্ষার্থীদের স্বার্থের বাইরে গিয়ে এই সিদ্ধান্ত না নেওয়ার প্রস্তাব দিই। ফ্যাসিস্ট সরকারের বিষয়টি বলায় এ সময় মৃৎশিল্প ও ভাস্কর্য বিভাগের আওয়ামীপন্থী শিক্ষক অধ্যাপক ড. মোস্তফা শরীফ আনোয়ার আমার সঙ্গে উচ্চস্বরে কথা বলায় তার সঙ্গে আমার উচ্চবাচ্য হয়। সে সময় মৃৎশিল্প ও ভাস্কর্য বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আব্দুস সালাম আমার মতামতকে সরাসরি প্রত্যাখ্যান করে আমাকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘একে বের করে দেওয়া হোক’। এ সময় আমি দু-পা সামনে এগিয়ে গিয়ে বলি, ‘তুমি আমাকে বের করে দিতে বলার কে?’। সে মুহূর্তে আব্দুস সালাম উত্তেজিত হয়ে আমার কোমর জাপটে ধরে উপরে তোলে এবং বলপ্রয়োগ করে চেয়ারে বসিয়ে দেয়।”
আরও পড়ুন: জৈন্তাপুরে যৌথ টহল, নিরাপত্তা জোরদারে পুলিশ ও সেনাবাহিনী একসাথে মাঠে
এ বিষয়ে অভিযুক্ত সহযোগী অধ্যাপক আব্দুস সালামের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।