মাদারীপুরের নতুন ডিসি আফছানা বিলকিসের যোগদান

Sanchoy Biswas
বিশেষ প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ৯:২১ অপরাহ্ন, ২৭ অক্টোবর ২০২৫ | আপডেট: ৯:২১ অপরাহ্ন, ২৭ অক্টোবর ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

মাদারীপুর জেলার নতুন জেলা প্রশাসক পদে নিয়োগ পাওয়া আফছানা বিলকিস সোমবার যোগদান করেছেন। যোগদানের জন্য সোমবার মাদারীপুরে গেলে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক বৃন্দ ও জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা তাকে স্বাগত জানান।

সরকারের উপসচিব আফছানা বিলকিস কিশোরগঞ্জের আদর্শিক পরিবারের রত্নগর্ভা মেধাবী মুখ। প্রশাসন ক্যাডার (১৫৮৯৪), ২৫ ব্যাচের একজন উপসচিব হিসেবে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের কেন্দ্রীয় ব্যাংক শাখায় কর্মরত থেকে আগস্ট ২০২৪ এর পর থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের বিভিন্ন সংস্কার কার্যক্রমে জড়িত থেকেছেন।

আরও পড়ুন: অমানবিক পুশইনের শিকার অন্তঃসত্ত্বা ভারতীয় নারী সোনালী খাতুনকে বিএসএফের কাছে হস্তান্তর করলো বিজিবি

আফছানা মূলত পেশাগত ও ব্যক্তিগতভাবে কোনো রাজনৈতিক মতাদর্শের অনুসারী নন। সৎ ও সাহসী কর্মকর্তা হিসেবে তার সুনাম রয়েছে। আওয়ামী সময়ে তিনি খাগড়াছড়ির পানছড়ি ও চট্টগ্রামের হাটহাজারীর ইউএনও ছিলেন। আওয়ামী সরকারের সময় অবৈধভাবে মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের অন্তর্ভুক্ত না করায় তাকে শোকজসহ নানা হয়রানির শিকার হতে হয়েছিল।

তার বাবা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের আদর্শবাদী শিক্ষক ছিলেন—যিনি ২৭ বছর আগে মারা গেছেন। মা অবসরপ্রাপ্ত সরকারি চাকরিজীবী (বয়স ৬৯)। মা এ মাসেই ৫ অক্টোবর বিশ্ব শিক্ষক দিবস উপলক্ষে বিশেষ সম্মাননা পেয়েছেন। তারা ২ বোন ও ১ ভাই। বড় বোন ২৪ ব্যাচের প্রশাসন ক্যাডারের মাহবুবা বিলকিস, যিনি এ বছরই মার্চ মাসে যুগ্ম সচিব হিসেবে পদোন্নতি পেয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে কর্মরত আছেন। একমাত্র ছোট ভাই অসুস্থ থাকায় কিছু করছেন না।

আরও পড়ুন: জামালপুরের আলোচিত মনিরুল হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে গ্রেফতার

তার বাবার ৪ ভাইয়ের মধ্যে ৩ জন বহুদিন পূর্বে মৃত। একমাত্র জীবিত চাচা প্রতিবন্ধী। এ পরিবারে রাজনীতি করার মতো কেউ নেই। বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় তিনি বারবার সততা, দক্ষতা ও ন্যায়ভিত্তিক কাজের জন্য সিনিয়রদের অনেকের বিরাগভাজন হন। সকল যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও আফছানা বিলকিসের বড় বোনকে আওয়ামী সরকার ডিসি পদায়ন করেনি।

গণঅভ্যুত্থান-পরবর্তী অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আফছানা বিলকিসকে মূল্যায়ন করে জেলা প্রশাসক হিসেবে পদায়ন করায় কিশোরগঞ্জবাসী গর্বিত ও কৃতজ্ঞ।