সাভারে অসামাজিক কার্যকলাপের দায়ে বাণিজ্য মেলা বন্ধ করে দিল প্রশাসন

Sadek Ali
মো. রফিকুল ইসলাম জিলু,সাভার
প্রকাশিত: ৯:২১ পূর্বাহ্ন, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৫ | আপডেট: ১০:৪২ পূর্বাহ্ন, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

সাভারের গেন্ডা এলাকার ইমুর বালুর মাঠে  প্রশাসনের নাকের ডগায় অবৈধভাবে চলছিল  বাণিজ্য মেলার নামে জুয়া ও অসামাজিক কার্যকলাপ। মধ্য রাতে উচ্চস্বরে বক্সে গান  বাজিয়ে মেলায় চলে বিনোদন। বিভিন্ন স্কুলের বার্ষিক পরীক্ষায় অংশ নেওয়া আশপাশের শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ায় বিঘ্ন ঘটছে।

কয়েকদিন আগেই মেলাটি স্থানীয় প্রশাসন বন্ধ করে দিলে পুনরায় আংশিক নাম পরিবর্তন করে মেলাটি চালু করায় স্থানীয়দের মাঝেও মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।

আরও পড়ুন: অমানবিক পুশইনের শিকার অন্তঃসত্ত্বা ভারতীয় নারী সোনালী খাতুনকে বিএসএফের কাছে হস্তান্তর করলো বিজিবি

 খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সাভার পৌরসভার গেন্ডা এলাকায় ইমু সাহেবের বালুর মাঠে মাসব্যাপী অর্গানিক খাদ্য পণ্য, কৃষি পণ্য প্রদর্শনী ও শিল্প বাণিজ্য মেলার শর্ত ভঙ্গের অভিযোগে ১০ নভেম্বর স্থানীয় প্রশাসন মেলার অনুমতিপত্র বাতিল পূর্বক মেলা বন্ধের নির্দেশ প্রদান করেন। তখন অর্গানিক খাদ্য পণ্যের নামে মেলায় চলত জুয়া ও অসামাজিক কার্যকলাপ।

খবর নিয়ে দেখা গেছে, কোন অনুমতি ছাড়াই আংশিক নাম পরিবর্তন করে পুনরায় মেলার কার্যক্রম শুরু হয়েছে। নাম দেওয়া হয়েছে লাল সবুজের অর্গানিক খাদ্য কৃষি শিল্প ও বাণিজ্য মেলা। সুলতান নামে এক ব্যক্তি এনসিপি'র স্থানীয় কয়েকজনকে সাথে নিয়ে মেলাটি পরিচালনা করছেন।

আরও পড়ুন: জামালপুরের আলোচিত মনিরুল হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে গ্রেফতার

 মেলায় কয়েকটি চটপটি ফুচকার দোকান কিছু কাপড়ের দোকান আর এমনি কিছু স্টল রয়েছে তবে অর্গানিক খাদ্যপণ্যের কোনো স্টল চোখে পড়েনি। এছাড়া অসামাজিক কার্যকলাপের জন্য ভূতের ঘর নামে একটি ঘর রয়েছে। রয়েছে জুয়া খেলার সরঞ্জাম। রাত হলেই চলে জুয়া আসর।

 এর আগে, মেলাটি শুরু হলেও নিয়মবহির্ভূত ও অসামাজিক কার্যক্রম পরিচালনার অভিযোগে এক সপ্তাহের মাথায় মেলা বন্ধ করে দেয় প্রশাসন। এতে মাসব্যাপী মেলা চলার কথা থাকলেও তা বন্ধ হয়ে যায়।

স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, বন্ধ হওয়ার পরও আয়োজক কমিটির সদস্যরা অবৈধভাবে মেলাটি পুনরায় চালু করেন।

 মেলার দায়িত্বে থাকা ইউসুফ মোল্লা দাবি করেন স্থানীয় প্রশাসন ও সাংবাদিকদের ম্যানেজ করেই মেলা চালানো হচ্ছে।

 এদিকে বছরের শেষে বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষার্থীদের বার্ষিক পরীক্ষা চলছে। অভিভাবক, শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসীর আশঙ্কা মেলার উচ্চ শব্দের বক্স ব্যবহার, ভিড়, যানজট ও অনিয়ন্ত্রিত পরিবেশ শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া দারুণভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে। তারা অবিলম্বে আবাসিক এলাকায় মেলার নামে জুয়া খেলা বন্ধে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়ার আহবান জানান।

 এ প্রসঙ্গে সাভার উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ সাইফুল ইসলাম বলেন, আমি শুনেছি ওখানে একটা মেলা চলতেছে। অবৈধ কোন মেলা এখানে চলবে না। আজকেই (মঙ্গলবার) আমি ব্যবস্থা নিচ্ছি।

 মেলার আয়োজক সুলতান বলেন, স্থানীয় এনসিপির নেতারা দায়িত্ব নিয়ে মেলা চালাচ্ছে। মেলায় জুয়া খেলার কথা স্বীকার করে বলেন, কোন অসামাজিক কাজ হয় না। মেলার কোন অনুমোদন আছে কিনা সে বিষয়েও তিনি অবগত নন।

 তবে অবৈধ মেলার বিষয়ে জানতে সাভার মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জুয়েল মিঞার মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করল তিনি রিসিভ করেননি।