মোখায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা দ্রুত মেরামতের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

সম্প্রতি দেশের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া প্রচণ্ড শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ের পর এর ক্ষক্ষতি নিয়ে দেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, মোখার ক্ষয়ক্ষতি হ্রাসে যথেষ্ট প্রস্তুতি গ্রহণ করেছিলাম। উপকূলীয় ১৩ জেলায় ৭০৪০টি আশ্রয়কেন্দ্র খুলেছিলাম। সেখানে সাড়ে সাত লাখেরও বেশি মানুষ আশ্রয় নিয়েছিল।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, “মোখার ক্ষয়ক্ষতি হ্রাসে যথেষ্ট প্রস্তুতি গ্রহণ করেছিলাম। আমি নিজে সার্বক্ষণিক খোঁজখবর নিয়েছি, নানা নির্দেশনা দিয়েছি। উপকূলীয় ১৩ জেলায় ৭০৪০টি আশ্রয়কেন্দ্র খুলেছিলাম। আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে সাড়ে সাত লাখেরও বেশি মানুষ আশ্রয় নিয়েছিল। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় দ্রুত পুনবার্সন কার্যক্রম গ্রহণের জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।”
আরও পড়ুন: ১৫ আগস্ট ঘিরে আ. লীগ-ছাত্রলীগকে সড়কে নামতে দেওয়া হবে না: ডিএমপি কমিশনার
জাপান, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য সফর নিয়ে সোমবার (১৫ মে) বিকেলে গণভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
ঘর্ণিঝড় মোখার ক্ষয়ক্ষতি থেকে বাংলাদেশকে রক্ষার জন্য সৃষ্টিকর্তা মহান আল্লাহপাকের কাছে শুকরিয়া আদায় করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, “অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখার আঘাতে জানমালের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হতে আমরা রক্ষা পেয়েছি। যদিও আমাদের সেন্টমার্টিন ও কক্সবাজারে কিছু ক্ষতি হয়েছে।”
আরও পড়ুন: সরকারি প্রশিক্ষণে বাড়লো ভাতা ও সম্মানী
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “যেসব এলাকা ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, দ্রুতই সেগুলো আবার মেরামতের কাজ শুরু হয়ে গেছে। তা ছাড়া খাবার, পানি যা যা দরকার, সবকিছুরই ব্যবস্থা করা হয়েছে।”
রবিবার দুপুরের দিকে কক্সবাজারের টেকনাফ এবং সেন্টমার্টিন দ্বীপে আঘাত হানে মোখা। ঘূর্ণিঝড়ের কারণে এখনো পর্যন্ত বাংলাদেশ কারো নিহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি। ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষতির শিকার হয়েছেন প্রায় তিন লাখ মানুষ। কক্সবাজারের টেকনাফ এবং সেন্টমার্টিনের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া ঘূর্ণিঝড় মোখা প্রায় বারো হাজার ঘরবাড়ির ওপর তাণ্ডব চালিয়েছে।