ভারতীয়দের গণপিটুনিতে বাংলাদেশি যুবক নিহত, আহত ৫

ভারতের মেঘালয় রাজ্যে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশের পর গণপিটুনিতে এক বাংলাদেশি যুবকের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। নিহত যুবকের নাম আকরাম হোসেন (৩০)। তিনি শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতী উপজেলার কাংশা ইউনিয়নের বাঁকাকুড়া গ্রামের মৃত জহির উদ্দিনের ছেলে। এ ঘটনায় আরও অন্তত পাঁচজন আহত হয়েছেন।
জানা গেছে, গত সোমবার (১১ আগস্ট) বিকেলে আকরামসহ কয়েকজন বাংলাদেশি যুবক অবৈধভাবে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতের খাসি হিলস জেলার কৈথাকোণা গ্রামে প্রবেশ করেন। ওই সময় স্থানীয়দের গণপিটুনির শিকার হন তারা। পরে আহত অবস্থায় আকরাম হোসেনকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সেখানেই তার মৃত্যু হয়। বুধবার (১৩ আগস্ট) সকালে ঘটনাটি জানাজানি হলে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় চোরাইকৃত ৮টি মোবাইল ফোনসহ দুই আসামি গ্রেফতার
বাঁকাকুড়া এলাকার ইউপি সদস্য মোছা সরদার ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আকরাম হোসেন দীর্ঘদিন বরিশালে অবস্থান করতেন। সম্প্রতি গ্রামে ফিরে আসেন এবং সোমবার সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে প্রবেশ করেন।
বিজিবির নৌকুচি সীমান্ত ফাঁড়ির একটি সূত্র জানিয়েছে, ঘটনার পরপরই বিষয়টি নিয়ে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)-এর সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। বিএসএফ জানিয়েছে, ভারতের রোংদাংগাই গ্রামের এক বাসিন্দাকে অপহরণ ও ছিনতাইয়ের চেষ্টার অভিযোগে স্থানীয় জনগণ আকরামসহ কয়েকজনকে ধরে গণপিটুনি দেয়। আহতদের মধ্যে তিনজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে এবং বাকি দুজন এখনও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
আরও পড়ুন: শিল্প কারখানায় উৎপাদন ব্যাহত, জনজীবন বিপর্যস্ত, লোকসানের মুখে ব্যবসায়ীরা
এ বিষয়ে ঝিনাইগাতী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আল আমীন বলেন, "ভারতীয়দের গণপিটুনিতে এক বাংলাদেশি যুবকের মৃত্যুর খবর পেয়েছি। নিহত আকরাম হোসেনের বিরুদ্ধে অপহরণ মামলায় একটি গ্রেপ্তারি পরোয়ানাও রয়েছে। বিস্তারিত তথ্য পরে জানানো হবে।"
এদিকে স্থানীয় প্রশাসন ও বিজিবির পক্ষ থেকে বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে বলে জানা গেছে।