ভূমিকম্পে আগৈলঝাড়ায় ২২টি বিদ্যালয় ক্ষতিগ্রস্ত, পাঠদান ব্যাহত

Sanchoy Biswas
আহাদ তালুকদার, আগৈলঝাড়া (বরিশাল)
প্রকাশিত: ৭:২৫ অপরাহ্ন, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫ | আপডেট: ৯:২৫ অপরাহ্ন, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলায় সাম্প্রতিক ভূমিকম্পে অন্তত ২২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবকদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।

উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অবস্থিত প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভবনে ফাটল দেখা দিয়েছে। কোথাও কোথাও শ্রেণিকক্ষের দেয়াল ও ছাদের অংশ খসে পড়ার ঘটনাও ঘটেছে। ভূমিকম্পের সময় বিদ্যালয়ে অবস্থানরত শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা দ্রুত বাইরে বের হয়ে নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিয়েছেন।

আরও পড়ুন: বিডা চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরীর মাতারবাড়ী ও চট্টগ্রাম বন্দর পরিদর্শন

উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নের ৯৭টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ২২টি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে চারটি প্রাথমিক বিদ্যালয় বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, ২১ নভেম্বর ভূমিকম্পে সারা দেশের মতো বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নের ৯৭টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ২২টি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বেশি ক্ষতিগ্রস্ত বিদ্যালয়গুলো হলো: গৈলা নোনাপুকুরপাড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, অশোকসেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, তালতার মাঠ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, দক্ষিণ বাগধা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।

আরও পড়ুন: সেন্টমার্টিনে মাছধরার বোটসহ আটক-১৬

বিদ্যালয়গুলোতে বিম, মেঝে, ওয়াল ও ছাদে ফাটল দেখা দিয়েছে। এসব বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা সব সময় আতঙ্কে থাকেন কখন কী হয়ে যায়।

এ ছাড়া উপজেলার আমবৌলা, পয়সা, নগরবাড়ি, পাকুরিতা, পশ্চিম মোল্লাপাড়া, পশ্চিম সুজনকাঠি, উত্তর বারপাইকা, বারপাইকা, জোবারপাড়, সাহেবেরহাট, চাউকাঠি, ভালুকশী, রামানন্দের আঁকসহ অন্যান্য এলাকায়ও ভূমিকম্পে ফাটল দেখা দিয়েছে।

ভূমিকম্পে বিম ও দেয়ালে ফাটল দেখা দিয়েছে আগৈলঝাড়া মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। এসব বিদ্যালয়ের পিলার, ছাদ ও মেঝেতে ফাটল দেখা দিয়েছে। বিদ্যালয়গুলোতে কোমলমতি শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা ক্লাস করার সময় আতঙ্কে থাকেন। কখন গায়ে বিম বা ছাদ ধসে পড়ে, তা নিয়ে অভিভাবকরা তাদের ছেলেমেয়েদের বিদ্যালয়ে পাঠিয়ে চিন্তায় থাকেন।

প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অভিভাবক হালিম সরদার জানান, শুনেছি ভূমিকম্পে বিভিন্ন স্থানে ফাটল দেখা দিয়েছে। বিদ্যালয়ে ছেলে পাঠিয়ে চিন্তায় থাকি কখন কী হয়ে যায়।

ক্ষতিগ্রস্ত আগৈলঝাড়া মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মোস্তাফিজুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, ভূমিকম্পে ভবনের ছাদ, ওয়াল ও বিমে ফাটল দেখা দিয়েছে। তাৎক্ষণিক উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে জানিয়েছি। তারা দেখে সংস্কারের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে পাঠিয়েছেন।

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আমজাদ হেসেন জানান, ভূমিকম্পে উপজেলার ৯৭টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে চারটি বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ২২টি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত বিদ্যালয়গুলোর তালিকা তৈরি করে সংস্কারের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে পাঠানো হয়েছে।