বিএসএফের গুলি শুধু প্রফেসর ইউনুসের নয় বিবেকবান প্রতিটি বাংলাদেশির বুকে লাগে: উপ-প্রেস সচিব আজাদ মজুমদার

সীমান্তে পশু আনা-নেওয়াকে কেন্দ্র করে বিএসএফের গুলিতে অনেক বাংলাদেশি প্রাণ হারিয়েছেন বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার। তিনি বলেন, কোরবানির মৌসুমে সীমান্তে গরু চোরাচালান এখন আগের চেয়ে অনেকটাই কমেছে। কিন্তু সীমান্ত হত্যা থেমে নেই।
শুক্রবার (৬ জুন) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দেওয়া এক পোস্টে তিনি বলেন, ‘কোরবানির পশু বেচাকেনা চলছে। পশুর মজুদ পর্যাপ্ত আছে। এটা বেশ আশার খবর। ছোটবেলায় দেখতাম রুগ্ন, সাদা ভারতীয় গরুতে বাজার সয়লাব। কোরবানির হাটে বেশ ক’বছর ধরেই এ দৃশ্য অনুপস্থিত।
আরও পড়ুন: ১৫ আগস্ট ঘিরে আ. লীগ-ছাত্রলীগকে সড়কে নামতে দেওয়া হবে না: ডিএমপি কমিশনার
সীমান্তে পশু আনা-নেওয়াকে কেন্দ্রে করে বিএএসএফের গুলিতে অনেক বাংলাদেশি প্রাণ হারিয়েছেন। ভারতীয়রা তো বটেই, বাংলাদেশের অনেক মন্ত্রী-এমপিও হত্যাকাণ্ডের যারা শিকার তাদের চোরাচালানি আখ্যা দিয়ে এই হত্যাকাণ্ডগুলোকে ন্যায্যতা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন।
সীমান্তে গরু চোরাচালান এখন কমে এলেও হত্যাকাণ্ড থামেনি। আইন ও সালিশ কেন্দ্রের দেওয়া হিসেব মতে জানুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত অন্তত ৬ জন বাংলাদেশিকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে সীমান্তে।
আরও পড়ুন: সরকারি প্রশিক্ষণে বাড়লো ভাতা ও সম্মানী
পোস্টে তিনি লিখেছেন, বাংলাদেশের পক্ষ থেকে এসব হত্যাকাণ্ডের তীব্র প্রতিবাদ করা হয়েছে, হচ্ছে। ব্যাংককে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সাথে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস আলোচনা শুরুই করেছিলেন সীমান্ত হত্যা দিয়ে। তিনি বলেছিলেন, আপনাদের সীমান্তরক্ষীরা যখন সীমান্তে আমাদের নাগরিকদের গুলি করেন এই গুলি এসে আমার বুকে লাগে। আসলে এই গুলি কেবল প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের একার বুকেই লাগে না, বিবেকবান প্রত্যেকটা বাংলাদেশির বুকে লাগে।
পশু প্রতিপালনে স্বয়ং সম্পূর্ণ হোক বাংলাদেশ। পশুকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশিদের সঙ্গে পাশবিক আচরণ বন্ধ হোক, এই প্রত্যাশা রেখে সবাইকে ঈদুল আজহার শুভেচ্ছা। ’