সিলেট টেস্ট: প্রথম ইনিংসে ১৮৮ রানে অলআউট বাংলাদেশ

ব্যাটারদের ব্যর্থতায় দলের মূল বোলাররা বোলিংয়ের পাশাপাশি ব্যাটিংটাও কিছুদূর সামলালেন। দলের মান বাঁচানোর দায়িত্বটা তাই বোলাররাই নিলেন। এতে সিলেট টেস্টের দ্বিতীয় দিনের দ্বিতীয় সেশনে এসে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ১৮৮ রানের মামুলি পুঁজি সংগ্রহ করল বাংলাদেশ। প্রথম ইনিংসে শ্রীলঙ্কার চেয়ে ৯২ রানে পিছিয়ে আছে স্বাগতিকরা।
৮৩ রানেই সাজঘরে পাড়ি জমিয়েছিল বাংলাদেশের অর্ধেক দল। সেখান থেকে বাকি পথ টুকু এলো টেল এন্ডারদের ব্যাটে চড়েই। তাইজুল খেলেন ৪৭ রানের ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধুর শাহাদাত বার্ষিকীতে সাকিব আল হাসানের শ্রদ্ধা
১৪৭ রানে যখন অষ্টম উইকেট হারায় বাংলাদেশ সেখানে অনেকেই দেখছিল আরও দ্রুত গুটিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা। তবে নবম উইকেটে খালেদ ও শরিফুলের ৪০ রানের সেই জুটি লঙ্কানদের লিড কমিয়ে আনল একশ’য়ের নিচে।
৩ উইকেটে ৩২ রান নিয়ে দিন শুরু করে নাজমুল হোসেন শান্তর দল। সেখানে দিনের প্রথম সেশনেই সাজঘরে আরও তিন ব্যাটার জয়, দিপু ও লিটন। এতে মূল ব্যাটারদের ছাড়াও দ্বিতীয় সেশনে আরও ৯৩ বল খেলেন তাইজুল-শরিফুল-খালেদরা। যেখানে এসেছে আরও ৫২ রান। বাংলাদেশের ইনিংসে দশটি উইকেটই নিয়েছেন লঙ্কান পেসাররা। এর মধ্যে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নেন বিশ্ব ফের্নান্দো এবং ৩টি করে উইকেট নেন লাহিরু কুমারা ও কাসুন রাজিতা।
আরও পড়ুন: স্বপ্ন পূরণের পথে দাবাড়ু মুনতাহা, পাশে দাঁড়ালেন সাবেক ফুটবলার আমিনুল হক
এর আগে টেস্টের প্রথম দিনে টসে হেরে ব্যাট করতে নামা লঙ্কানদেরও পেস তোপে ভুগিয়েছিল বাংলাদেশ। সেখানে খালেদের পেস তোপে ৫৭ রানেই সাজঘরে ফেরেন ৫ ব্যাটার। তবে সেখানে চাপ সামলে দলকে শক্ত অবস্থানে নিয়ে যান ম্যাচের জোড়া সেঞ্চুরিয়ান ধনঞ্জয়া ও কামিন্দু। দলীয় ২৫৯ রানের মাথায় তাদের এই জুটি ভাঙেন অভিষিক্ত পেসার নাহিদ রানা। পরে ধনঞ্জয়ার উইকেটও। এতে শেষ পর্যন্ত ২৮০ রানে থামে লঙ্কানদের প্রথম ইনিংস।
সংক্ষিপ্ত স্কোর: (দ্বিতীয় দিন*)
শ্রীলঙ্কা প্রথম ইনিংস: ২৮০ (৬৮ ওভার) (ধনঞ্জয়া ১০২, কামিন্দু ১০২; খালেদ ৩/৭২, নাহিদ ৩/৮৭)
বাংলাদেশ প্রথম ইনিংস: ১৮৮ (৫১.৩ ওভার) (তাইজুল ৪৭, লিটন ২৫; বিশ্ব ৪/৪৮, লাহিরু ৩/৩১)